বিজেপিকে বিপাকে ফেলে এনআরসি নিয়ে রাস্তায় তিন রাজনৈতিক দল, জানুন বিস্তারিত! উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য December 31, 2019 নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই আইনের স্বপক্ষে থেকে বিজেপি যেমন প্রচার করতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই পাল্টা এই আইনের বিপক্ষে প্রচার করে বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তৃণমূল, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস এই তিন রাজনৈতিক দল নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যেতে শুরু করেছে মালদহ, বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জ শহরে। বলাই বাহুল্য, তৃণমূল প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রচার করায় তারা অনেকটাই বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। তবে লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভালো ফলাফল করায় এবার তারা এই বিষয়ে তৃণমূলকে মাত দিতে রাস্তায় নেমেছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তিন জেলায় নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে রাস্তায় নামতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে গৌড়বঙ্গের তিন জেলা দক্ষিন দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদহে নেতা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিজেপি রাস্তায় নামাতে শুরু করবে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে নেতাকর্মীদের ক্লাস করানো শুরু করবে বলে খবর। আগামী 3 জানুয়ারি মালদহে জেলা বিজেপির কার্যালয়ে এই ব্যাপারে একটি বৈঠক করা হবে। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল বলেন, “এনআরসি ও নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আন্দোলন কিভাবে হবে, তা নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করবেন। বৈঠকে জেলার নেতারাও থাকবেন। বৈঠকে পরবর্তী নির্বাচনের কৌশল নিয়েও আলোচনা করা হবে।” তবে বিজেপির এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “বিজেপির সঙ্গে মানুষ আর নেই। তাই নেতারা ক্লাস করেও কিছু করতে পারবেন না।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গৌড়বঙ্গের অন্তর্গত তিন জেলায় যদি বিজেপি ভালো করেই নাগরিকত্ব সমর্থনে প্রচার চালাতে পারে, তাহলে তা তৃণমূলকে অনেকটাই বিপাকে ফেলে দেবে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির এই প্রচারকে মাত করতে সক্ষম হয় কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -