এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে -কে নিয়ে এবার বিস্ফোরক নতুন অভিযোগ আনলেন মুকুল রায়, জেনে নিন

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে -কে নিয়ে এবার বিস্ফোরক নতুন অভিযোগ আনলেন মুকুল রায়, জেনে নিন

তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন একদা তৃণমূলের ২ নম্বর ও বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আজ ফের একবার সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ৩০২-এর মামলা ছিল। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার পর সেই মামলার ফাইল নাকি উধাও হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, রথযাত্রার অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু, নিরাপত্তাজনিত কারণে বিজেপির কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চ। এরপর বিজেপির তরফ থেকে ফের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হলে বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেয় বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন সেই রায় ঘোষণার পর নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখাও করতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার। জানা গেছে রথযাত্রা নিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয় বিজেপির তরফ থেকে।জানা যাচ্ছে রাজ্য সরকার বিজেপির দুই নেতা মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজ্য সরকার রাজি নয়।আর তাই সোমবার এই মর্মে হাই কোর্টে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল শাসকের তরফ থেকে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আদালতে জানানো হয় যে, বিজেপি প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। তাই তাঁদের সঙ্গে রথযাত্রা নিয়ে আলোচনায় বসা যাবে না।

আর এই নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়েই আজ কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের দাখিল করা হলফনামার সমালোচনা করলেন মুকুলবাবু। তিনি জানান যে, “সরকার হলফনামা দিয়েছে এবং ওপেন কোর্টে জাস্টিস অনারেবল সমাদ্দার তার রিঅ্যাকশন দিয়েছেন।”
সাথেই তিনি দাবি করলেন যে রাজ্য সরকারের বিপদকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে। তারা ভারতবর্ষের সংবিধান, ভারতবর্ষের আইনকে মান্যতা দেয় না। যুক্তিতে জানালেন যে আজ যে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। শুধু তাই নয় চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, চিদম্বরমের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এমনকি রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।”

সাথেই ইতিহাসের পাতা উল্টে দাবি করলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন রাজ্যপালের বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেছিলেন, সেদিন মমতার বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মামলা ছিল। জানালেন যে , ১৯৯৩ সালে বারাসতের একটি ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ৩০২-এর মামলা হয়েছিল। সেই মামলার ফাইলটা মমতা রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর কোথায় চলে গেছে কেউ জানে না। সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে, না কোয়াশ হয়েছে, না ফাইলটা হারিয়ে দেওয়া হয়েছে – কোনওটারই জবাব নেই। সুতরাং এটা সরকারের ব্যাপার, সরকার করেছে। কিন্তু, আমি এটা বলতে পারি ভারতবর্ষের সংবিধান বলছে, যতক্ষণ না কেউ অপরাধী প্রমাণ হচ্ছে, ততক্ষণ সে নির্দোষ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন তিনি মায়াবতীর প্রসঙ্গও টেনে বলেন যে , আর একটা ঘটনা বলি, আপনাদের জানা আছে মায়াবতীকে একবার নির্বাচন কমিশন চার্জশিট দিয়েছিল বলে নির্বাচন থেকে বিরত করেছিল। কিন্তু, পরবর্তী ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট অর্ডার দিয়ে বলেছিল, চার্জশিট দেওয়া বা কোনও মামলায় থাকার অর্থ নির্বাচন থেকে বিরত রাখা নয়। তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিতে হবে। এই রাজ্যে DG-র বিরুদ্ধে মামলা আছে। মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে মামলা আছে। স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে মামলা আছে। সুতরাং, এই যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা খালি সময় নেওয়ার কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়। তাই (রাজ্য সরকারের) এই হাস্যকর যুক্তি, কোনও অবস্থাতেই আমার ধারণা আদালত মানবে না।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!