এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাচ্চাদের অভুক্ত রেখে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি মমতার! করুন পরিনতি রাজ্যের!

বাচ্চাদের অভুক্ত রেখে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি মমতার! করুন পরিনতি রাজ্যের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যে খেলা, মেলা, ভাতা, ভর্তুকির শেষ নেই। কিন্তু কাজের বেলায় রাজ্য সরকারের কোষাকারে নাকি অর্থের অভাব! ক্লাবগুলোকে টাকা দেওয়া হোক বা ইমামদের ভাতা, ঘটা করে সেই সমস্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে দেখা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে তার নজর পড়ে না, যখন আইসিডিএস সেন্টারগুলোতে বাচ্চারা খাবার না পেয়ে অভুক্ত থাকে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, বাচ্চারা তো ভোট দেয় না। সেই কারণে সেদিকে নজর নেই মুখ্যমন্ত্রীর।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই আইসিডিএস সেন্টারে বাচ্চাদের সঠিক মাত্রায় খাবার না দেওয়ার বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওসবে মুখ্যমন্ত্রীর কিছু যায় আসে না। বাচ্চারা তো এক, দেড়, দুই বছরের বাচ্চা। তারা তো ভোট দেয় না। সুতরাং তাদের দিকে মুখ্যমন্ত্রীর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ইমাম-মুয়াজ্জেমদের টাকা দিচ্ছেন। মা, বোনেদের লক্ষীর ভান্ডার দিচ্ছেন, তাতেই হয়ে যাচ্ছে। বাচ্চারা তো ভোট দেয় না। তাই তাদের খাবারের দিকে নজর দিয়ে কি হবে! তারা অভুক্ত থাকুক।”

বলা বাহুল্য, রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে বারবার তোষণের রাজনীতি করার এবং ভোট ব্যাংক ধরে রাখার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। গঠনমূলক উন্নয়নের পরিবর্তে শুধুমাত্র ভোটের জন্য মানুষকে তুষ্টি করার যে রাজনীতি সরকার করছে, তা বিপদজনক বলেও দাবি করা হয় বিরোধীদের তরফে। কিন্তু তাতে থোড়াই কেয়ার রাজ্যের। তবে রাজ্য সেদিকে নজর না দিলেও ধীরে ধীরে করুণ দৃশ্যগুলো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। আইসিডিএস সেন্টারের বাচ্চারা সঠিক খাবারের অভাবে অভুক্ত থাকছে। তাই সেই খবর পেতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করার অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা।

তবে বিরোধী দলনেতা যখন এই কথা বলছেন, তখন তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের পাল্টা যুক্তি, কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুদান কমিয়ে দিচ্ছে। সেই ব্যাপারে একটু দিল্লিতে গিয়ে তদবির করুন শুভেন্দুবাবুরা। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা না করে কূটনৈতিক চক্রান্ত বন্ধ করা উচিত বিজেপি নেতাদের বলেই দাবি শাসক শিবিরের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবার আগে রাজ্যে বন্ধ করা উচিত তোষণ এবং ভোট ব্যাংকের রাজনীতি। তাহলেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। ভোটব্যাংক এবং তোষনের রাজনীতি করতে গিয়ে হয়তো কিছু মানুষকে কিছুদিনের জন্য ভালো রাখা যায়। কিন্তু সারা জীবনের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!