এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “বিশ্বাসঘাতকদের” মমতা স্বাগত জানালেও, উল্টো সুর অরুপের গলায়! বাড়ছে জল্পনা!

“বিশ্বাসঘাতকদের” মমতা স্বাগত জানালেও, উল্টো সুর অরুপের গলায়! বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবির ঘোষাল থেকে শুরু করে বৈশালী ডালমিয়া, অনেক হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করেছিলেন পদ্মফুল শিবিরে‌। তবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর খুব একটা লাভ করতে পারেননি। বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল থেকে আসা এই সমস্ত হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীকে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হলেও, একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী বাদে আর সকলেই পরাজিত হয়েছেন।

যার ফলে তাদের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের মধ্যে অনেকেই রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতার কারণে আবার ঘাসফুল শিবিরে যুক্ত হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় সেই সমস্ত নেতাকর্মীরা যদি চলে আসতে চান, তাহলে তাদের স্বাগত বলে একটি মন্তব্য সামনে এসেছে। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলবদলকারী সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের স্বাগত জানানোর কথা বললেও, কার্যত নেত্রীর উল্টো পথেই হাঁটলেন হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অরূপ রায়। রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন করে দলে যাতে তাদেরকে গ্রহণ করা না হয়, তার জন্য হাইকমান্ডের কাছে তিনি অনুরোধ করবেন বলে জানিয়ে দিলেন এই হেভিওয়েট নেতা।

সূত্রের খবর, এদিন হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায়। যেখানে তিনি বলেন, “ভোটের আগে কিছু নেতাকর্মী টাকার লোভে দল ছেড়ে গিয়েছেন। দলের সঙ্গে তারা বেইমানি করেছেন। তৃণমূলে ওই সমস্ত কর্মীদের কোনো জায়গা নেই। এসব গদ্দারদের যেন আর নেওয়া না হয়, তার জন্য দলের হাইকমান্ডের কাছে অনুরোধ করব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলবদলকারী নেতাদের ব্যাপারে সুর নরম করলেও, হাওড়া জেলায় যে সমস্ত হেভিওয়েট নেতারা দলবদল করেছেন, তাদের যাতে নেওয়া না হয়, তার জন্য অরূপ রায় এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতাদের গ্রহণ করার ব্যাপারে আপত্তির কথাই ফুটে উঠল অরুপবাবুর গলায় বলে দাবি একাংশের।

একাংশ বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেতারা বিজেপিতে যোগদান করার কারণে তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে পড়ে গিয়েছিল। এক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতাদের নিয়ে গিয়ে বিজেপি তৃণমূলকে আরও চাপের মুখে ফেলে দেবে বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে ফলাফল উল্টো হয়েছে। তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীকে বিজেপি টিকিট দিলেও, তাদের বেশিরভাগ জয়লাভ করতে পারেননি।

যার ফলে তারা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সেই সমস্ত নেতা নেত্রীদের স্বাগত জানিয়ে একটি বক্তব্য পেশ করেছেন, তখন কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্টো পথে হেটে সেই সমস্ত গদ্দারদের যাতে নেওয়া না হয়, তার জন্য তিনি হাইকমান্ডের কাছে অনুরোধ করবেন বলে জানিয়ে দিলেন হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!