তৃণমূল দলটা আবর্জনায় ভরে গেছে, ‘বড়াই’ করে বলছেন মমতা ব্যানার্জি নিজেই! প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য June 2, 2019 বাংলায় অনেক লড়াই করে বামেদের ৩৪ বছরের সরকারের পরিবর্তন করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখন বোধহয় সেই পরিবর্তনের আবারো পরিবর্তন হওয়ার সময় হয়ে গেছে। অন্তত রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির কথা ধরলে তাই দাঁড়ায়। কেননা সদ্যসমাপ্ত লোকাভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে ১৮ টি লোকসভা আসন জিতে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে রীতিমত নিঃশ্বাস ফেলছে গেরুয়া শিবির। আর তারপরেই মুকুল রায়ের মত বিজেপি নেতারা হুঙ্কার ছাড়ছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নাকি তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই তুলে দেবেন। আর মুকুল রায়দের কথা যে ফাঁকা আওয়াজ মোটেই নয়, তা বোঝা যায়, যখন রোজই দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো না কোনো বিধায়ক, কাউন্সিলর বা পঞ্চায়েত স্তরের নেতা হাতে বিজেপির পতাকা তুলে নিচ্ছেন। আর শুধু মাদার সংগঠনেই নয়, মুকুল রায়-শঙ্কুদেব পণ্ডার সৌজন্যে ভাঙন ধরেছে তৃণমূলের ছাত্র ও যুব সংগঠনেও। সেই ভাঙন এতটাই তীব্র যে এতদিন দলে যাঁদের ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল সব মান-অভিমান ভুলে সেই শোভন চ্যাটার্জি, কাজল শেখ বা কুনাল ঘোষদের মরিয়া হয়ে কাছে টানার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কতটা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেননা নির্বাচনী প্রচারে এসে বিজেপির পোস্টার-বয় তথা খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তত ৪০ জন বিধায়ক নাকি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ২৩ শে মে রেজাল্ট বেড়োলেই এই বিধায়করা যে কোন দিন বিজেপিতে যোগদান করবেন। তখন তৃণমূল এই দাবি উড়িয়ে দিলেও, এখন আর সেই জায়গায় নেই। কেননা ইতিমধ্যেই অন্তত ২ জন তৃণমূল বিধায়ক ও একজন অন্যদলের বিধায়ক যিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন – এই ৩ জন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অনাস্থা দেখিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। অর্জুন সিংদের কথামত এই সংখ্যাটা আগামী দিনে ১০০ ছাড়িয়ে যাবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি নৈহাটিতে এক ধর্নামঞ্চে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রকাশ্যেই বলেন, আজকে সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপির জল্লাদে পরিণত হয়েছে। যারা সিপিএমের লোক বিজেপি হয়েছে, তারাই বিজেপিকে শেষ করবে! ৪০ কেন, ১০০ টা বিধায়ক নিয়ে নিন কিছু হবে না। আবর্জনা মুক্ত হবে আমার দল! আমি বুঝিয়ে দেব কত ধানে কত চাল! আর তৃণমূল এহেন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই রাজনৈতিকমহলের প্রশ্ন, তাহলে কি তিনি নিজেই নিজের দলের বিধায়কদের ‘আবর্জনা’ মনে করছেন? এই ‘আবর্জনা’ নিয়েই তিনি রাজ্যপাট চালাচ্ছেন? যদি একথা সত্যিই তিনি বিশ্বাস করেন, তার মানে দলীয় বিধায়কদের প্রতি তাঁর এক বিন্দুও আস্থা নেই! সবথেকে বড় কথা এর আগে তিনি যাঁদের আবর্জনা বলেছিলেন, সেই সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে অর্জুন সিং, মুকুল রায় থেকে শুরু করে শঙ্কুদেব পণ্ডা সকলেই ফুল ফুটিয়েছেন! তাহলে গুটি কতক ‘আবর্জনা’ তাঁর হাত ছেড়ে বেরিয়ে লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দলকে নাকের জলে-চোখের জলে করে ছেড়েছেন! এমন অবস্থা হয়েছে যে তাঁকে খোদ ছুটতে হচ্ছে বুথ-লেবেলের মিটিং করতে। আর তারফলেই প্রশ্ন উঠছে এই ১০০ ‘আবর্জনা’ বেরোলে তাহলে কি হবে? আপনার মতামত জানান -