এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুদ্ধিকরণ কি মুখেই? মমতার নির্দেশকে অমান্য করে জেলা কমিটিতে ঠাঁই ১৮ মামলায় অভিযুক্ত নেতার

শুদ্ধিকরণ কি মুখেই? মমতার নির্দেশকে অমান্য করে জেলা কমিটিতে ঠাঁই ১৮ মামলায় অভিযুক্ত নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জেলার কমিটিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে এমন কাউকে জেলা কমিটিতে যাতে জায়গা না দেওয়া হয়, যার জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, তার কারনে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা সত্বেও মালদহ জেলায় 18 টি মামলায় অভিযুক্ত রতুয়ার ইয়াসিন শেখকে জেলা কমিটিতে জায়গা দেওয়া নিয়ে ব্যাপক অস্বস্তিতে এবং প্রশ্নের মুখে পড়ল মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

জানা গেছে, প্রকাশ্য সভায় মালদহ নেতৃত্বকে এই ইয়াসিন শেখের ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ইয়াসিন শেখের ক্ষমতা যাতে কমানো হয়, তার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরেও তাকে জেলা কমিটিতে রাখা নিয়ে এবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। তাহলে কি নেত্রীর নির্দেশকে কার্যত অমান্য করে মালদহ জেলা নেতৃত্ব সেই ইয়াসিন শেখের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিল! এখন তা নিয়ে দলের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা এই ইয়াসিন সেখ। 2013 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে লড়াই করে জয়লাভ করেন তিনি। পরবর্তীতে তৃণমূলের সমর্থনে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হওয়ার পরেই যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তবে ইয়াসিন শেখ তৃনমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের এক নেত্রীকে মারধরের অভিযোগ সহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে। মাঝে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় তার বিরুদ্ধে বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাকে নজরবন্দি করা হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এহেন ইয়াসিন শেখের বিরুদ্ধে 18 টি মামলা থাকা সত্ত্বেও তাকে জেলা কমিটিতে জায়গা দেওয়া এবার তৃণমূল নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাহলে কি ইয়াসিন শেখ ছাড়া আর অন্য কোনো নেতা ছিল না! যার কারণে স্বচ্ছতার কথা বলা হলেও সেই ইয়াসিন শেখের উপর ভরসা করে তৃণমূল জেলা কমিটি গঠন করল! কিন্তু এর ফলে তো শাসকদলের ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুণ্ন হবে!

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “কলকাতার ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।” তবে যাকে নিয়ে এত বিতর্ক, সেই ইয়াসিন শেখ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আদালতে সেগুলো বিচারাধীন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস বারবার স্বচ্ছতার কথা বলছে, শুদ্ধিকরণের কথা বলছে।

কিন্তু মুখেই যে তারা এই কথা বলেছে, তা মালদহের এই ঘটনাতেই কার্যত প্রমাণিত হয়ে গেল। যার ফলে বিরোধীরা এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে রাজনৈতিক অস্ত্র পেয়ে গেল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সবমিলিয়ে অস্বস্তি ঢাকতে মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!