এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিরোধীদের অভিযোগকে সত্যি করে এবার তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে উদ্ধার হলো রেশন কার্ড ! অস্বস্তিতে মমতা

বিরোধীদের অভিযোগকে সত্যি করে এবার তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে উদ্ধার হলো রেশন কার্ড ! অস্বস্তিতে মমতা

করোনা মহামারীর সময় প্রতিটি সরকার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার। আর তারই অঙ্গ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করার আপ্রাণ প্রয়াস চালাচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেই রেশনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যেখানে কোথাও তৃণমূলের নেতাদের পক্ষ থেকে রেশন সামগ্রী তুলে নেওয়ার অভিযোগ, আবার কোথাও বা রেশনে নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা।

আর বিরোধীদের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারপক্ষকে। তবে এবার রেশন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেল। সূত্রের খবর, বর্ধমানের কালনার কল্যাণপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে এবার প্রচুর রেশন কার্ড উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।

জানা যায়, এদিন কালনা 2 ব্লকের কল্যাণপুর পঞ্চায়েত এলাকার কল্যাণপুরের দলীয় কার্যালয় পরিষ্কার করার সময় একটি প্যাকেটে বেশ কিছু ডিজিটাল রেশন কার্ড দেখতে পাওয়া যায়। আর এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে এসে দেখেন, তাদের অনেক কার্ড এখানে রয়েছে। যার পরবর্তীতে তারা ক্ষোভে ফুসতে শুরু করেন। শুরু হয় বিক্ষোভ। উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি প্রধানের বাড়িতেও আরও রেশন কার্ড রয়েছে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে জনসাধারনের এই বিক্ষোভের জেরে এলাকায় উপস্থিত হন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান পিন্টু খামারু এবং কালনা থানার পুলিশ। তবে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ দমাতে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় জামাল শেখকে। আর তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে এলাকাবাসীর এত রেশন কার্ড উদ্ধার হওয়ায় এখন শাসকদলের অস্বস্তি যে অনেকটাই বাড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা তাহাজুদ্দিন সরকার বলেন, “আমাদের 14 টি পুরনো রেশন কার্ডের আবেদন করেও নতুন কার্ড পাইনি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরেও কার্ড মেলেনি। জানি না কার্যালয়ে উদ্ধার হওয়া রেশন কার্ডের মধ্যে বা অন্যত্র আমাদের কার্ড আছে কিনা।” কিন্তু এভাবে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে কেন রেশন কার্ড উদ্ধার হল?

এদিন এই প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায় বলেন, “জামাল শেখকে অনৈতিক কাজের জন্য আমরা দেড় বছর আগেই দল থেকে বহিষ্কার করেছি। আমরা কোনোভাবেই চাই না, মানুষ খাদ্যসাথীর কার্ড থেকে বঞ্চিত হোক। উদ্ধার হওয়া কার্ডগুলির নাম ধরে ধরে বিলি করার জন্য বলা হয়েছে। সকলে যাতে কার্ড পান, সেই দিকটাও দেখা হবে। কোনো অনৈতিক কাজকে বরদাস্ত করা হবে না। আইন আইনের পথে চলবে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে রেশনিং ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আর এবার যেভাবে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে মানুষের ভুঁড়ি ভুঁড়ি রেশন কার্ড উদ্ধার হল, তাতে বিরোধীরা যে সরকারকে আরও বেশি পরিমাণে চেপে ধরবে এবং এর ফলে যে সরকার আরও অস্বস্তিতে পড়বে, তাতে একপ্রকার নিশ্চিত সকলেই। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে প্রত্যেকের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!