এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে শাসকদলের মাস্টারস্ট্রোকেই কি এবার ভাঙ্গনের মুখে ভাঙড়ের জমি আন্দোলন?

মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে শাসকদলের মাস্টারস্ট্রোকেই কি এবার ভাঙ্গনের মুখে ভাঙড়ের জমি আন্দোলন?


মুখ্যমন্ত্রীর কূটনৈতিক চালে ভাঙড় আন্দোলন প্রায় দিশেহারা। ইউএপিএ-সহ একাধিক মামলায় নাহেজাল গ্রামবাসীর সম্মুখে রাজ্য সরকারের প্রস্তাব সমস্ত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হবে একই সাথে ঐ এলাকায় প্রভূত উন্নয়ন হবে। আর এই প্রস্তাবেই কার্যত দ্বিধাগ্রস্ত গ্রামবাসীরা। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের বিবৃতি থেকে জানা যাচ্ছে অল্প দিনের মধ্যে ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রীড নির্মাণ বিরোধী আন্দোলনের জট কাটতে চলেছে। আবারও শুরু হবে পাওয়ার গ্রিডের নির্মাণের কাজ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওয়ার গ্রিড বিরোধী জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গুলি-বোমা, সংঘর্ষে একাধিক বার উত্তাল হয়েছে ভাঙড়। অনেক নিপরাধ গ্রামবাসীর ও প্রাণহানি ঘটেছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

 

খোদ মুখ্যমন্ত্রী এক সময় ঘোষণা করেছিলেন, গ্রামবাসীরা না চাইলে পাওয়ার গ্রিড হবে না। সেই জমি আন্দোলনকারীরাই এখন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এখন স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন আসছে এমন টা সম্ভব হলো কী করে? এই বিষয়ে আলোকপাত করলেন রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা । তিনি বললেন  মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ কে অনুসরণ করেই সাফল্য এসেছে। ইংরেজদের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ পদ্ধতির অনুকরণে গ্রামবাসীদের বহিরাগত নেতাদের প্রভাবমুক্ত করার কাজ বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিলো। এই কাজে সাফল্য পেতে স্থানীয় আন্দোলনকারীদের একাধিক বার জেলা প্রশাসনের মুখোমুখি করা হয়। কখনও জেলাশাসক, কখনও পুলিশ সুপারের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এইসব বৈঠক গুলিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেন আরাবুল ইসলামের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা কাইজার আহমেদ। সেই সব বৈঠকে প্রশাসনের তরফে আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়া মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়। এমনকি গ্রামবাসীদের দাবি অনুসারে মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার, জমিদাতাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, একশো দিনের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদির মত সরকারী সুযোগ সুবিধা দানের ও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। নবান্ন আশার আলো দেখলেও রাজনৈতিকমহলের মতে জমি আন্দোলন কি সত্যিই এইভাবে মিটে যাবে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।  

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!