এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার কথাই সার, ঠিকাদারকে হুমকি দেওয়ায় বিতর্কে হেভিওয়েট বিধায়ক! অস্বস্তি তৃনমূলের!

মমতার কথাই সার, ঠিকাদারকে হুমকি দেওয়ায় বিতর্কে হেভিওয়েট বিধায়ক! অস্বস্তি তৃনমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   প্রথম এবং দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে যাতে কেউ কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত না থাকে, তার জন্য দল এবং প্রশাসনকে বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃতীয় বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর আরও বেশি করে সেদিকে মনোযোগী হয়েছেন তিনি। দলের কেউ যাতে প্রশাসনের কাজে নাক না গলান, তার জন্য সকলকে সচেতন করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু তারপরেও বিতর্ক থামছে না।

এবার এক ঠিকাদারকে তুলে নিয়ে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের লোকেদের বিরুদ্ধে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে প্রতি মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বচ্ছতা সহকারে কাজ করার ওপর জোর দিতে বলছেন, সেখানে তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীদের ঠিকাদারকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা চাপে ফেলে দিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ যে বিরোধীদের হাতে বাড়তি হাতিয়ার তুলে দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

জানা গেছে, চুঁচুড়ায় ঠিকাদারদের দুটি অফিস বেশ কিছুদিন ধরেই দখল করার চেষ্টা করছিল তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের অনুগামীরা। এমনকি সম্প্রতি এক ঠিকাদারকে তুলে নিয়ে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে সেই অফিস দুটিতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পরেই তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের ঘনিষ্ঠদের নাম জড়ানোর কারণে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, সকলকে কাজ করতে দিতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি সরকারি কাজে নাক গলানো তিনি মানবেন না। সেখানে তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীদের এই দাপাদাপি কেন? কেন ঠিকাদারদের এইভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হচ্ছে? ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ খুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। কিন্তু তা সত্ত্বেও অস্বস্তি কমছে না কিছুতেই। যার ফলে পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

কেন তার অনুগামীরা এইভাবে ঠিকাদারদের হুমকি দিচ্ছেন? এদি এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “ফেসবুকে কি ছবি দিলেন তাতে কিছু আসে যায় না। বিজয়ের সঙ্গে আমার কোনো পরিচয় নেই‌। ওরা তপন দাশগুপ্তের ঘনিষ্ঠ সবাই জানেন। আর কোনো ক্লাবে আমি যাব না কেন?” এদিকে চুঁচুড়ায় তিনি তোলাবাজি সহ্য করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। তবে যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই মূল অভিযুক্ত বিজয় ঠিক কি বলছেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুলিশ ডাকলে যাব। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। বিধায়ক আমাদের ক্লাবে অনুষ্ঠান থাকলে আসেন। আসলে আমি যাদের সঙ্গে মিশতাম, তাদের সঙ্গে আর নেই। তাই এই সমস্ত কথা বার্তা উঠছে।” তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এই গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কার্যত স্পষ্ট হয়ে উঠল। একদিকে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার এবং অন্যদিকে তপন দাশগুপ্ত।

আড়াআড়ি ভাবে যে বিভক্ত তৃণমূল শিবির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না‌। স্বাভাবিক ভাবেই একদিকে ঠিকাদারকে হুমকি এবং অন্যদিকে দুই তৃণমূল বিধায়কের দুই মত কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিল ঘাসফুল শিবির এবং রাজ্য প্রশাসনকে‌। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পরিস্থিতি সামলাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে তৃণমূল দল এবং প্রশাসন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!