এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার লক্ষীর ভান্ডারে সামিল বিজেপি জনপ্রতিনিধিরা, ব্যাপক চাপে দিলীপ ঘোষ!

মমতার লক্ষীর ভান্ডারে সামিল বিজেপি জনপ্রতিনিধিরা, ব্যাপক চাপে দিলীপ ঘোষ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করার পরেই সেখানে নাম লেখাতে মা-বোনেদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বিভিন্ন দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পগুলোতে ভিড় উপচে পড়ে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে মানুষকে ভিখিরী বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

অর্থাৎ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির যে যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে, তা দিলীপ ঘোষের কথার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে চাপের মুখে ফেলে দিয়ে তার দলের অনেক জনপ্রতিনিধিদের সেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম লেখাতে দেখা যাচ্ছে। যার ফলে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, সোমবার ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের ছোড়দা হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে দেখা যায় স্থানীয় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য চায়না প্রতিহার সহ তার পরিবারের একাধিক মহিলাকে। পাশাপাশি উপপ্রধানের সহধর্মিনীকেও এই প্রকল্পের জন্য ফর্ম ফিলাপ করতে দেখা যায়। আর তারপরেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। একাংশ বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কিছুদিন আগেই এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিলেন।

কিন্তু রাজ্য সভাপতি যখন লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ করছেন, তখন তার দলের জনপ্রতিনিধি বা তাদের পরিবারের একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পে শামিল হওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন। আর এই গোটা ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, রাজ্যের তৃণমূল সরকারের প্রতি এবং তাদের উন্নয়নের প্রতি বিজেপির অনেক জনপ্রতিনিধিদের যথেষ্ট আগ্রহ এবং ইচ্ছা রয়েছে বলেই দাবি ঘাসফুল শিবিরের। স্বভাবতই গোটা ঘটনায় ভারতীয় জনতা পার্টির চাপ যে দ্বিগুণ ভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু যেখানে তাদের দলের রাজ্য সভাপতি এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন, সেখানে কেন তারা এই প্রকল্পে নিজেদেরকে শামিল করছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য চায়না প্রতিহার বলেন, “আমার স্বামী চাষবাস ও গৃহশিক্ষকতা করেন। যোগ্য বলেই আমি, জা এবং শাশুড়ি আবেদন করেছি।” যদিও বা এই ব্যাপারে সমালোচকদের একাংশ বিজেপিকে কটাক্ষ করলেও, তাতে অন্য যুক্তি দিয়েছেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যের প্রকল্পের আওতায় সব রাজ্যবাসী আছেন। আমরাও তো বলতে পারি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কেন্দ্রীয় প্রকল্প।তৃণমূলের লোকজন তো তাতে বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু আমরা তো তা বলি না।”

তবে এখানেই অবশ্য অনেকেই প্রশ্ন করছেন, কিছুদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। এক্ষেত্রে মানুষকে ভিখিড়ি বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও দলের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে তাদের আত্মীয় পরিজনেরা যেভাবে সেই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন, তাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্য নিয়ে যে প্রশ্ন উঠবে, তা তো অত্যন্ত স্বাভাবিক। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!