এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং প্রার্থী বাছাই করেছেন। মনে প্রশ্ন থাকলেও অনুগত সৈনিক হিসাবে তা মেনে নেওয়াটাই নান্টুর উচিত ছিল।” – বক্তব্য রাজ্যের মন্ত্রীর

“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং প্রার্থী বাছাই করেছেন। মনে প্রশ্ন থাকলেও অনুগত সৈনিক হিসাবে তা মেনে নেওয়াটাই নান্টুর উচিত ছিল।” – বক্তব্য রাজ্যের মন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই দলের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী না করার কারণে দল ছাড়তে শুরু করেছেন একাধিক হেভিওয়েট। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শিলিগুড়ির দাপটে তৃণমূল নেতা নান্টু পাল। তাঁর দল ছাড়া প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব গতকাল একাধিক বক্তব্য রাখলেন। গতকাল নিজের বিধানসভা এলাকা ডাবগ্রাম- ফুলবাড়িতে প্রচারে গিয়েছিলেন মন্ত্রী গৌতম দেব। সেখানেই নান্টু পালের দল ত্যাগ প্রসঙ্গে সরব হলেন তিনি।

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করার ঘোষণা করেছেন তিনি। গত শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর, গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সময় শিলিগুড়িতে ছিলেন, সে সময়ই দু জন মন্ত্রী গৌতম দেব ও অরূপ বিশ্বাস তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তবে এখনো পর্যন্ত জেলা সভাপতির কাছে নিজের পদত্যাগপত্র দেননি তিনি। আবার এসজেডিএর ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দেননি তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল দল ত্যাগী নেতা নান্টু পাল সম্পর্কে মন্ত্রী গৌতম দেব জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রার্থী বাছাই করেছেন। তাই মনে প্রশ্ন থাকলেও , দলের একজন অনুগত সৈনিক হিসেবে তা মেনে নেওয়াই উচিত ছিল। তা না করে তিনি দল ছেড়ে যদি নতুন কোথাও যান, তবে তা হবে পঞ্চম বারের। মন্ত্রী জানালেন, তিনি চান তাঁর শুভবুদ্ধি ফিরে আসুক। তাঁর বয়স হয়েছে, বারবার যদি তিনি এভাবে দল ছাড়েন। তবে তাঁর ভাবমূর্তি একসময় ধুলোয় মিশে যেতে পারে।

মন্ত্রী গৌতম দেব আরো জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মেয়ের বিয়েতে গেলেই তাঁকে ভোটের টিকিট দেয়া হবে, এমন ধারণা করা ঠিক নয়। তাঁর কথায়, “রাজনীতিতে উচ্চাকাঙ্খা থাকা ভাল। কিন্তু লাগামছাড়া না হওয়াই কাম্য।” অন্যদিকে, জেলা তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, জু অথরিটি, স্পোর্টস বোর্ড, এসডেজিএ মিলিয়ে নান্টু পাল যত সরকারি পদ পেয়েছেন, তা জেলার অন্য কোনো নেতা পাননি। তিনি জানিয়েছেন, শহরের বিধায়ক মেয়র না হলে উন্নয়নের কাজ করা যায় না। দলের একাংশের বক্তব্য, তাঁর হয়তো মাটি থেকে পা একটু উপরে উঠে গেছে।

অন্যদিকে নান্টু পাল জানিয়েছেন যে, তিনি কতবার দল ছেড়েছেন? এটা দেখে কি হবে? প্রতিবার নতুন দলে গিয়ে জয়লাভ করেছেন তিনি। খেলোয়াড় ভালো বলেই অন্য দলে তিনি সুযোগ পেয়েছেন। মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণিত। বুদ্ধি তাঁর ঠিকই আছে। অনেক উপেক্ষা তিনি সহ্য করেছেন। কখনো তিনি কিছু বলেননি। কিন্তু, আর পারছিলেন না তিনি। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন যে, জেলা সভাপতি ও এসজেডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি, সময়মতো সমস্ত কিছু জমা করে দেবেন তিনি।

 

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!