বিজেপিকে তীব্র আক্রমন করে এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশেষ আর্জি জানালেন অধীর চৌধুরী! জাতীয় মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য October 30, 2019 কাশ্মীরের জঙ্গি হানার ঘটনায় এবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এল মুর্শিদাবাদের নাম। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্যের অন্যান্য দলগুলি। বুধবার সকালে সাগরদিঘী থেকে কাশ্মীরের কুলগ্রামে গিয়ে প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের 5 জন শ্রমিক। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি। আর তা থেকে উঠেছে প্রতিবাদের আওয়াজ। আর সেই আওয়াজকেই অবলম্বন করে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন এদিন। মঙ্গলবার রাতে কাশ্মীরে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে বুধবার সকালেই মুর্শিদাবাদের শ্রমিক পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছান রাজ্য শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান, কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রত্যেকেই মৃত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কুলগাম কান্ডের নিন্দা করে কেন্দ্রীয় বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি এই পরিবারগুলির একজন করে সদস্যের জন্য চাকরির দাবি জানান। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই আপেল ভাঙার কাজ করতে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বহাল নগর এলাকা থেকে জনা 15 শ্রমিকের একটি দল। তারা থাকতেন কাতরাসু গ্রামে, বাড়ি ভাড়া নিয়ে। আর এদিন সেই বাড়ি থেকেই পাঁচ শ্রমিককে বার করে এনে এলোপাথাড়ি গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। নিহত হয়েছে 45 বছরের রফিক শেখ, 35 বছরের কামরুদ্দিন, 45 বছরের মুরসালিম শেখ, নইমুদ্দিন সেখ ছিলেন 42 বছরের এবং মাত্র তেইশ বছরের ছেলে রফিকুল শেখ। এরমধ্যে তিনজন শ্রমিকের বাড়ি হল মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী গ্রামের বোখরা 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণী গ্রামে। এদিন সংবাদ পাওয়ার পরেই গ্রামবাসীরা ভেঙে পড়ে শোকে। গভীর শোকের পরিবেশ তৈরি হয় গ্রামে। মৃতদের খবর গ্রামে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সেখানকার বাসিন্দারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বুধবার সকালে সাগরদিঘী গ্রামে প্রশাসনিক কর্তারা এবং মন্ত্রীরা পৌঁছে যান। নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছি। প্রশাসন সবসময় নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে।’ অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘ইতিমধ্যেই দ্রুত দেহ পাঠানোর আবেদন জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’ তিনি এদিন জানান নিখোঁজদের পরিবারের জন্যে একটি হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে। এদিন অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাগরদিঘী গ্রাম থেকেই কাশ্মীরের গ্রামের এই নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব কে আক্রমণ করে বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর থেকে 370 অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করেছে মোদি সরকার। কিন্তু খেটেখাওয়া শ্রমিকের কাছে 370 ধারা অর্থহীন, তাঁদের প্রয়োজন রুটি-রুজি। আর সেই কারণেই কাশ্মীরে যাওয়া। সেখানে তাঁদের নিরাপত্তা কোথায়।’ পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে সাহায্যের আর্জি জানান তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মৃতদের পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। অন্যদিকে 370 বাতিল হওয়ার পর এই প্রথম মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দল কাশ্মীর প্রদর্শন করতে এসেছিলেন। ঠিক সেই একই দিনে ভূস্বর্গে আবার রক্তের পরিবেশ ফিরে এলো। জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হলো পাঁচ বাঙালি শ্রমিক। বিরোধীরা এদিন এই নিয়ে বিঁধেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। উল্লেখযোগ্যভাবে, একসঙ্গে এত জনকে হত্যার ঘটনা ভূস্বর্গে প্রথম ঘটল 370 বাতিল হওয়ার পরে। শুধুমাত্র একই দিনে এই ঘটনা ঘটা নিছক সমাপতন নয় রীতিমতো ভেবেচিন্তে ওই আন্তর্জাতিক দলের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতেই যে হামলা তা নিয়ে নিশ্চিত প্রশাসনিক মহলের একাংশ। তবে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনায় কি সিদ্ধান্ত নেন সেদিকে নজর রাখবে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -