প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্দিনের সৈনিক হিসেবেই পরিচিত তিনি। উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের সংগঠনের শেষ কথা বলতেন ইটাহারের দুইবারের তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য। কিন্তু এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে টিকিট দেওয়া হয়নি। আর তারপর থেকেই অমলবাবুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। সেভাবে দলের কোনো কার্যসূচিতে তাকে দেখতে না পাওয়ায় তিনি কি করবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা।

অবশেষে সেই জল্পনায় সীলমোহর দিয়ে এবার ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লেখালেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা দুইবারের তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য। সামনেই উত্তরবঙ্গের একাধিক আসনে ভোট রয়েছে। তার আগে এই হেভিওয়েট নেতা যেভাবে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন, তাতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ইটাহারের বিদায়ী বিধায়ক অমল আচার্য‌। যেখানে তার সঙ্গে তৃণমূলের বহু নেতাকর্মী গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছেন। এদিন তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। একসময় উত্তর দিনাজপুর জেলায় সংগঠনের শেষ কথা বলতেন এই অমল আচার্য। জেলা তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার টিকিট না পাওয়ার কারণেই তিনি যে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ভোটের মুখে অমল আচার্যের মত হেভিওয়েট নেতা দলত্যাগ করাই তৃণমূল কি বিড়ম্বনার মুখে পড়বে না? এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, “উনি দল ছেড়ে গেলেও তার কোনো প্রভাব পড়বে না। তার দলত্যাগের বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট আকারে পাঠানো হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এখন হয়ত বা অনেক কথাই বলা হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে অমলবাবুর মত নেতা যিনি এতদিন সংগঠন সামলেছেন, তিনি হঠাৎ করে দলবদল করায় তৃণমূল যে কিছুটা হলেও চাপের মুখে পড়ে যাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।