প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সোমবার সাত সকালে দুবাই যাওয়ার জন্য সন্তানদের নিয়ে দমদম বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহধর্মিনী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে তাকে আটকে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, ইডির নোটিশের কথা। আর তারপরেই তাকে 8 তারিখে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আর এবার স্ত্রী এবং সন্তানদের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে আটকে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দাবি, যেদিন থেকে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই ভীত হতে শুরু করেছে বিরোধীরা। আর সেই কারণেই মানসিকভাবে চাপে ফেলতেই তার স্ত্রী এবং সন্তানদের প্রতি এই ধরনের কার্যকলাপ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “যেদিন থেকে এই নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই তাতে পাল্লা দিতে না পেরে বিজেপি সব রকম চেষ্টা করছে। আমার স্ত্রী এবং সন্তানদের আটকে দেওয়া হয়েছে। ওদের অপরাধ কি, ওরা আমার সন্তান! আসলে মানসিকভাবে আমাকে চাপে ফেলতে, আমাকে বিভ্রান্ত করতেই এই ধরনের কার্যকলাপ করা হচ্ছে। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ আপনারা করতে পারবেন না।”

তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বললেও অনেকে আবার পাল্টা প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন। একাংশের দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করতে এত কিসের আপত্তি! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের জন্য তার স্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছে। কিন্তু তাতে এত গাত্রদাহ হচ্ছে কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের! কেন তিনি এক্ষেত্রেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলছেন! তাহলে কি তদন্তে সহযোগিতা করতে ভয় রয়েছে তাদের! অনেকে আবার বলছেন, সিমপ্যাথেটিক গ্রাউন্ডে একাধিক কথা বলে নিজের দিকে ইমোশন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলে পার পেতে চাইছেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সব সত্যতা বের করবে বলেই দাবি সমালোচক মহলের।