সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে গ্রেফতার করাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন একজন মহিলার। কে সেই মহিলা জানাল সিবিআই কলকাতা জাতীয় রাজ্য September 21, 2019 হঠাৎ যদি একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন আপনার তিল তিল করে জমানো টাকা আর সেই জায়গায় নেই যেখানে রেখেছিলেন। কেমন হবে মনের অবস্থা ? ঠিক এরকমই মনের অবস্থা হয়েছিল, 2013 সালে যেদিন সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ধরা পরল আমজনতার সামনে। বহু মানুষের সর্বস্ব লুট হয়ে যায় এই সারদা চিটফান্ডের ব্যবসার ফাঁদে। সারদার মালিকের খোঁজে সেই মুহূর্তে চারিদিকে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালানো হয়। রাজ্যের কোথাও তাঁকে পাওয়া যায় না। ইতিমধ্যে সারাদায় সর্বস্ব হারিয়ে বেশ কিছু মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন। এরপরে তদন্তের ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে এবং একে একে ফেরার সুদীপ্ত সেন দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও সারদার ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর প্রধান অরবিন্দ সিং চৌহান ধরা পড়ে। সারদাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই রাতারাতি গা-ঢাকা দিয়েছিলেন সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন। সাথে ছিল তাঁর সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী দেবযানী মুখোপাধ্যায়, এবং সারদা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর প্রধান অরবিন্দ সিং চৌহান। জানা যায়, তাঁরা সারদার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই কলকাতা ছেড়ে পালিয়েছিলেন। প্রাথমিক অবস্থায় তাঁদের সাথে ছিলেন গাড়ির চালক। কিন্তু রাঁচি পর্যন্ত গিয়ে গাড়ির চালককে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং সড়ক পথে এরপর হরিদ্বার, দেরাদুন ও পাঞ্জাব হয়ে কাশ্মীরে চলে যায় তাঁরা। সেখানেই গা-ঢাকা দিয়ে বসে থাকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেই সময় শুধু এই তিনজনের খোঁজ পেতে সিবিআই জেরা শুরু করে দেবযানি মুখোপাধ্যায়ের মাকে। শুক্রবার সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দেবযানি মুখোপাধ্যায়ের মা সিবিআই কে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য করেছিলেন সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও অরবিন্দ সিং চৌহানের খোঁজ পেতে তিনি সিবিআইকে জানান। সুদীপ্ত সেন এর নতুন ঠিকানা কাশ্মীরের সোনমার্গ। কাল বিলম্ব না করে সিবিআই সাথে সাথে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং সেখান থেকেই গ্রেপ্তার হয় ওই তিনজন। তিনজনকে কাশ্মীর আদালতে তোলা হলে, পরে সেখান থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি হয়ে সরাসরি নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। চলে জেরার পর জেরা। অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায় এই জেরার মুখেই জানান, একটি লাল ডাইরির কথা। যে ডাইরিতে সারদা চিটফান্ড এর সমস্ত তথ্য তোলা আছে। সাথে দেবযানী মুখোপাধ্যায় সিবিআইকে এও জানান, যে এই লাল ডাইরিটি সিটের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এরপরই আসে ঘটনায় চমক। সেইসময়ের সিটের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তৎকালীন বিধান নগর পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য পুলিশকে সেই সময় এই লাল ডায়েরি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়না। সিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ডাইরি তাঁরা পায়নি। এবং এখান থেকেই ঘটনার মোড় নেয় অন্যদিকে। একের পর এক জেরাতে এরপর উঠে আসে এক একটি হেভিওয়েট নাম। রাজ্যের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারও তখন থেকেই সিবিআইয়ের সন্দেহের তালিকায়। ঘটনা পরম্পরায় এতদিনে সিবিআই রাজীব কুমারকে জেরা করার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু রাজীব কুমার পালিয়ে গিয়ে অন্যদিকে ইশারা করছেন বলেই মনে করছেন সিবিআই আধিকারিক থেকে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -