এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সমস্যাটা কি মানুষের মনের নাকি সত্যি? ডায়রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মেয়র

সমস্যাটা কি মানুষের মনের নাকি সত্যি? ডায়রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মেয়র


আবার ও ব্যাপক হারে কলকাতায় ছড়ালো ডায়ারিয়া আতঙ্ক। এপর্যন্ত মোট ৬টি ওয়ার্ডে ডায়ারিয়ার প্রাদুর্ভাব লক্ষণীয় ।পৌরনিগম জানায় আক্রান্ত ৮০-র মতো।কিন্তু বেসরকারী সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী ২০০০ অতিক্রম করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতাল পরিদর্শন করেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় । তিনি হাসপাতাল সুপার গৌরব রায় ও রোগীর পরিজনদের সাথে কথা বলেন। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মেয়র জানান যে , “প্রত্যেক বাড়িতেই জল দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ররা যাচ্ছেন। জলের নমুনা সংগ্রহ করছেন। একটা জায়গায় যদি জল সংক্রমিত হত তাহলে চিহ্নিত করা যেত। বিষয়টিকে বুঝতে পারতাম। সেটাকে বন্ধ করতে পারতাম। কিন্তু, জলের নমুনায় কোনও সমস্যা ধরে পড়েনি। এখনও আমরা মনে করি জল নিরাপদ। এই জল ব্যবহারযোগ্য। অহেতুক কিছু ধারণা থেকে যায়। নিশ্চয়ই কয়েকজন অসুস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একটা বিষয় জানতে পারি। তাঁরা বলছেন, সিজ়ন চেঞ্জের সময় প্রত্যেক বছরই রোগী আসতে থাকে। আপনারা জানেন যাদবপুরে আগে টিউবওয়েলের জল দেওয়া হত। এখন জয়হিন্দ জল প্রকল্পের পরিশুদ্ধ পানীয় জল দেওয়া হয়। তাই, গত দু’বছর ধরে এই ধরনের রোগের প্রকোপ অনেকটাই কমে এসেছে। এ বছর যেহেতু এটা (ডায়ারিয়া) আসছে তাই, সবধরনের ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। ইতিমধ্যে হাসপাতালে অতিরিক্ত চিকিৎসক পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জল পরীক্ষা চলছে। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। বুঝতে চেষ্টা করছি, সমস্যাটা কি মানুষের মনের নাকি সত্যি হচ্ছে ? কিছু মানুষ তো অসুস্থ হয়েছেন।” হাসপাতাল সুপার গৌরব রায়ের বলেন , “কলকাতা পৌরনিগম কাজ করছে। চিকিৎসকরাও কাজ করছেন। দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চলছে।”
এদিন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষও বলেন, “নির্ভয়ে জল খান। জল থেকে কিছু হয়নি। আর ওই অঞ্চলে সিজ়ন চেঞ্জের সময় নাকি এর থেকে বেশি মানুষ পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আসলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। একটা ভয় কাজ করছে। গতকাল আমরা ৮২টা জলের নমুনা পরীক্ষা করেছি। আজ আরও ৪০-এর বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু, কিছু পাওয়া যায়নি।”
বাঘাযতীন, গাঙ্গুলিবাগান, গড়িয়া, যাদবপুর, পাটুলি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন , “আমরা ভয় পাচ্ছি। বাড়িতে প্রায় সবার ডায়ারিয়া হচ্ছে। তাই, জল কিনে খাচ্ছি। কিন্তু, এত টাকা পাব কোথায় ? পৌরনিগমকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। জল ঠিক না পেলে সমস্যায় পড়ব।” এই অবস্থায় পৌরনিগমের কাছে অভিযোগ করা হয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী
টিউবওয়েলের জল জারে ভরে বিক্রি করছেন । অতীন বাবু জানান বিষয় টি খতিয়ে দেখতে পৌরনিগম কর্তৃক কর্মী নিযুক্ত হয়েছে । এছাড়া তিনি আরোও বলেন যে প্রচুর পরিমাণে হ্যালোজেন ট্যাবলেট ও ORS-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা হেলথ সেন্টারে ও নিকটবর্তী থানাগুলিতে পাওয়া যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!