এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল নেতার সঙ্গে তিন তারকা প্রার্থীর হোলি খেলা, রবী ঠাকুরকে হাতিয়ার করে কটাক্ষ তথাগতর!

তৃণমূল নেতার সঙ্গে তিন তারকা প্রার্থীর হোলি খেলা, রবী ঠাকুরকে হাতিয়ার করে কটাক্ষ তথাগতর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সৌজন্য বিনিময়, দীর্ঘদিন নজর কেড়েছে ভারতবর্ষের রাজনীতিতে। দুর্গাপূজা অথবা ঈদ, ঝুলন উৎসব অথবা দোল উৎসব, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে গিয়ে কাছাকাছি আসতে দেখা গিয়েছে পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীদের। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বোধহয় পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে “বিরোধী মানেই ব্যাক্তিগত শত্রু” এই ধরনের পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়েছে। আর ঠিক একই ঘটনা ঘটল নির্বাচনের বৎসর 2021 সালের দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে।

যেখানে গঙ্গাবক্ষে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মদন মিত্রের সঙ্গে দোল উৎসব পালন করায় বিজেপির তিন তারকা প্রার্থীকে রীতিমত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে হাতিয়ার করে আক্রমণ করেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়। যে ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে, ঠিক 2011 সালের পরপর বর্তমান তৃনমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উক্তিকে। তিনি বলেছিলেন, “সিপিএমের মুখ দেখবেন না, তাদের ঘরে মেয়ে বিয়ে দেবেন না, একসাথে চা খাবেন না।”

আর মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করলেও কটাক্ষের স্বরে বিরোধীদের দাবি, প্রাসঙ্গিকতা নেই। সেজন্যই বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে যত রাজনৈতিক সৌজন্য মুখ্যমন্ত্রীর। আর যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বর্তমানে সবথেকে শক্তিশালী বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি, তাই তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সৌজন্যতার দোরগোড়া মাড়ায় না তৃনমূল নেত্রী থেকে শুরু করে শাসকদলের নেতা কর্মীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে নির্বাচনের মুখে তথাগত রায়ের মন্তব্যে এখন ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, শাসকদলের পক্ষ থেকে যেমন সৌজন্যতার খুব একটা বেশি নজির নেই, বিরোধীদের পক্ষ থেকেও তেমন নজির সৃষ্টির কোনো চেষ্টা চলবে না। বরং কেউ চেষ্টা করলে তার বিরোধীতা করাই চলবে। সূত্রের খবর, এদিন তথাগত রায় রবীঠাকুরকে হাতিয়ার করে ফেসবুকে লেখেন, “নগরীর নটী চলে অভিসারে যৌবনমদে মত্তা। এই নটীদের এখনও এই বোধ হয়নি যে রাজনীতিটা অভিসার নয়। শেষপর্যন্ত বাসবদত্তার অবস্থা না হলেই ভালো।” কাজেই বলাই যায়, যে অসৌজন্যের পরিবেশ বিগত দিনে গজিয়ে উঠেছিল, তা এই নির্বাচনের মরসুমে আপাতত দূরীভূত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তথাগত রায়ের উক্তির কি মানে করেন, সেটা তো সময় বলবে। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে ভারতীয় জনতা পার্টির এই নেতার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে রীতিমত মুখরোচক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে আদৌ এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হয় কি না, সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সকলের। এখন মূল দ্রষ্টব্য বস্তু হল, তিক্ততা যদি বৃদ্ধি হয়, তাহলে তা কোন পর্যায় অব্দি যাবে! কারণ ভোটের রাজনীতিতে বাংলায় কুকথা এবং হিংসার এত দৃষ্টান্ত দেখেছে বাঙালি যে এখন সিঁদুরে মেঘ দেখলেও ভয় হচ্ছে, এমনটাই মনে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!