এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > “২ মে-র পর দোকান খোলার লোক পাবেন না।” – মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির

“২ মে-র পর দোকান খোলার লোক পাবেন না।” – মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সদ্য শেষ হলো বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা। পঞ্চম দফার নির্বাচনের পর নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে একদিকে যেমন আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি শিবিরকে, তেমনি পাল্টা আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করছে শাসক দল তৃণমূল। আর এই পরিস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনার এক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন যে, এরপর তিনি আর দোকান খোলার লোক পাবেন না।

গতকাল শনিবার অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তনুজা চক্রবর্তীর সমর্থনে গুমায় একটি জনসভায় যোগদান করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মনের ইচ্ছা পূর্ণ হবে। জেলে বসে তিনি জিতবেন। আবার, জেলে বসেই তিনি ভাইদের সঙ্গে মিটিং করবেন। ২ রা মের পর দোকান খোলার লোক তিনি পাবেন না। ভোটের ফল বের হবার পর তৃণমূলের কোন প্রার্থী আর পাওয়া যাবে না। টাকা দিয়ে দাড় করাতে হবে প্রার্থীকে।

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি জানান, এবার থেকে জেলে বসেই ভোটে জিতবেন তিনি। যে যে ধরনের নেতা, তাঁকে সেরকম জেলেই রাখা হবে। পঞ্চায়েত সমিতির যারা তাঁদের বারাসাত জেলে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এমএলএদের রাখা হবে দমদম সেন্ট্রাল জেলে। এমপি, খাদ্যমন্ত্রীর মত যারা আছেন, তাঁদেরকে ভুবনেশ্বরে জগন্নাথ দর্শন করতে পাঠানো হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন যে, তাঁকে জেলে পাঠিয়ে দিতে, সেখান থেকে তিনি জিতে আসবেন, লালুপ্রসাদ যাদবের মতো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি জানান, তাঁকে একা জেলে যেতে হবে না। তাঁর ভাইয়েরাও যাবে। দলের মিটিং-মিছিল জেলে বসেই করতে পারবেন তিনি। দিলীপ ঘোষ জানালেন, সাংসদ, বিধায়কদের জন্য ভুবনেশ্বরে জেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর, জেলে বসেই ভাইদের সঙ্গে মিটিং করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী যদি কোথাও আসেন, তবে কালো গাড়ির লাইন পড়ে যায়। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর চুরি করা টাকায় কেনা এই গাড়িগুলোর নিলাম করা হবে।

তিনি অভিযোগ করলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা গরিব মানুষদের অর্ধেক দেয়া হয়েছে। একটা পুকুর দুবার কাটা হয়েছে, কিন্তু জল নেই। এই সমস্ত কিছুর তদন্ত করা হবে। সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, দেড় লক্ষ যুবক সিভিক পুলিশের চাকরি করছে, যাদের মাইনে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার। সিভিক পুলিশ বলে তাদের কেউ মেয়ে দিচ্ছে না। কেউ বিয়ে করতে চাইলেও মাইনে শুনেই বিয়ে দিতে চাইছে না।

আবার, গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্যের ৫ দফার ভোটে ১৮০ টি আসনের মধ্যে ১২৫ টিরও বেশি আসনে বিজেপি জয়লাভ করবে। খেলা হবে, বলে যারা খেলা শুরু করেছিল, এখন তাঁরা খেলা ছেড়ে চলে গেছে। বুথের নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর, বুথের বাইরে নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। এতদিন যেহেতু সমাজবিরোধীদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল পুলিশের। তাই দুস্কৃতি নিয়ন্ত্রণে সমস্যায় পড়ছে পুলিশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!