এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে রাজ্য পুলিশের দৈন্যদশার চিত্র প্রকাশ্যে, বাড়ছে অস্বস্তি রাজ্যের

মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে রাজ্য পুলিশের দৈন্যদশার চিত্র প্রকাশ্যে, বাড়ছে অস্বস্তি রাজ্যের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তের পর ৫০পাতার একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের এই রিপোর্টে রাজ্য পুলিশকে অপদার্থ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে ঘিরে। অনেক ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীদের অত্যাচারের সামনে একেবারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে পুলিশকে, এমন অভিযোগ উঠেছে। আবার, অধিকাংশ সময় শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের দিয়ে এফআইআর করিয়ে তার তারিখ বদলে দিয়ে অভিযোগকারীদের বিপদে ফেলেছে পুলিশ, এমন অভিযোগও উঠেছে। আর এর সঙ্গেই পুলিশের ব্যাপক দৈন্যদশার চিত্র সামনে চলে এসেছে এই রিপোর্টে।

এই রিপোর্টে দেখানো হয়েছে যে, রাজ্যের বহু জায়গায় এলাকার আয়তন বড়, প্রচুর জনসংখ্যা থাকার পরও উপযুক্ত পরিমাণে পুলিশকর্মী নেই। সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। যারা বড় ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করতে পারছেন না একাধিক গ্রামে এই অবস্থা চোখে পড়েছে মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকদের। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, এমন অনেক থানা আছে, যার এলাকা অনেক বড়, এলাকার জনঘনত্বও অনেক। কিন্তু উপযুক্ত পরিমাণে পুলিশ নেই, সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। গ্রাম বাংলার অনেকগুলি থানার এমন অবস্থা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দক্ষিণ ২৪ পরগনা ফলতা থানার কথা উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। যেখানে জানানো হয়েছে যে, এই থানায় মাত্র ১২ জন পুরুষ কনস্টেবল আছেন, মাত্র ৪ জন মহিলা কনস্টেবল আছেন, সিভিক ভলেন্টিয়ার আছেন ১৭০ জন। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। তাদের বেতন মাসে ১০,০০০ টাকার কম। কাজের উন্নতির কোনো সুযোগ নেই। স্থানীয় বাসিন্দা হবার কারণে এলাকা সম্পর্কে এরা জানেন, কিন্তু এদের কাজ করার ক্ষমতা সীমিত। সিভিক ভলেন্টিয়ার নেওয়াতে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে ঠিকই, কিন্তু শাসক দলের কর্মীরা বেশি করে কাজ পেয়েছেন। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়েও অনেক অভিযোগ রয়েছে। যেমন ফলতা থানার মহম্মদ আলমকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে রিপোর্টে।

মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের গরীব ও সাধারণ মানুষ পুলিশের ওপর একেবারেই আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, পুলিশকে ফোন করেও কোনরকম সাহায্য পাওয়া যায়নি। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের কাছে একেবারেই নিরব অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে পুলিশকে। পুলিশ এতটা নিষ্ক্রিয় যে, তাদের নীরব দর্শক বললে ভুল বলা হয় না। এই অবস্থায় পুলিশকে অপদার্থ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে। রাজনৈতিক চাপের কারণে পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে, অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য পুলিশের দৈন্যদশা নিয়ে যে চিত্র উঠে এসেছে কমিশনের রিপোর্টে, তাতে যথেষ্ট অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!