এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > শরীর-স্বাস্থ্য > করোনা সংক্রমণ দেহে একাধিক গুরুতর সমস্যা বয়ে আনতে পারে, চাঞ্চল্যকর তথ্য এলো বিশেষজ্ঞদের গবেষণায়

করোনা সংক্রমণ দেহে একাধিক গুরুতর সমস্যা বয়ে আনতে পারে, চাঞ্চল্যকর তথ্য এলো বিশেষজ্ঞদের গবেষণায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাস একাধিকবার তার জিনগত পরিবর্তন ঘটাচ্ছে, ফলে দেখা দিচ্ছে যেমন তার নতুন বৈশিষ্ট্য, তেমনি নতুন নতুন সমস্যা নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে মরণব্যাধি করোনা। সম্প্রতি বেশ কিছু করোনা রোগীকে নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন ভিয়েনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁদের এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে রিসার্চ অ্যান্ড প্র্যাক্টিসেস ইন থ্রম্বোসিস অ্যান্ড হিমোস্ট্যাসিস নামক জার্নালে।

বিশেষজ্ঞদের এই গবেষণায় বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে এসেছে। তাঁদের গবেষণায় দেখা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস কিংবা ভেনাস থ্রম্বো এম্বলিজম বা ভিটিইতে আক্রান্ত হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। দেহমধ্যস্থ ধমনীতে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর অবস্থায় পৌঁছে গেলে তাকে বলা হয় ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস। জমাট বাঁধা এই রক্ত ফুসফুসে পৌঁছে গিয়ে ভয়ংকর কান্ড ঘটাতে পারে। তাঁদের গবেষণায় এই বিষয়টি দেখা গেছে যে, হাসপাতালের জেনারেল বেডে ভর্তি থাকা রোগীদের ৫ থেকে ১১ শতাংশ এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২৬ শতাংশ এই সমস্যায় পড়তে পারেন। যা চিকিৎসকদের কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ভিয়েনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর জনৈক অধ্যাপক সিহান আই জানিয়েছেন যে, কোন করোনা রোগীকে হাসপাতালের কোন বেডে ভর্তি করা হবে, এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে তাঁদের এই গবেষণাটি। তাঁরা মোট ৫৯৫১ জন করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এই গবেষণাটি চালিয়ে ছিলেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা রোগীদের ১৪ % ভিটিইতে আক্রান্ত হতে পারেন, কিন্তু ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি থাকা রোগীদের ২৩ % ভিটিইতে আক্রান্ত হতে পারেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন যে, করোনা আক্রান্ত হলে শুধু যে ভিটিইর আশঙ্কা বাড়ে তাই নয়, আরও বেশ কিছু ভয়ঙ্কর সমস্যা তৈরি করে দিতে পারে কোভিড ১৯। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কয়েকমাস ধরে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন যে, এরফলে হৃদযন্ত্রের বিরাট ক্ষতি হতে পারে। করোনার মৃদু উপসর্গ যুক্ত রোগীরাও এর শিকার হতে পারেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ করোনা বিষয়ে গবেষণা করেছিলেন। তাঁদের গবেষণার রিপোর্ট দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন যে, করোনা মুক্ত হয়ে যাবার পরেও করোনা আক্রান্তদের শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, বুক ধড়পড় করা এই সমস্যাগুলি থেকেই যাচ্ছে অনেক সময়ে। এর কারণ হিসেবে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর কার্ডিওভাস্কুলার বায়োলজির গবেষক চার্লস মুরি জানিয়েছেন যে, একমাত্র জন্মের সময়ই হৃদ পেশি কোষ তৈরি হয়। এই কোষ পরবর্তীকালে নতুন করে আর তৈরি হয় না। তাই এই কোষ কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তা পূরণের তেমন সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। করোনার কারণে এই কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে হূদযন্ত্রের ক্ষমতা কমে যায়। একারণে করোনা মুক্ত হবার এক মাস পরেও থেকে যেতে পারে হৃদযন্ত্রের প্রবাহ ও ক্ষত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!