দিল্লি উড়ে যাবার আগে ভারতী ঘোষ নিয়ে রহস্য আরো বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন মুকুল রায় বিশেষ খবর রাজ্য January 1, 2018 সবং উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা পরবর্তী সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার, একদা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ভারতী ঘোষের বদলি ও ইস্তফার খবর নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এই বিষয়ে একের পর এক খবর সামনে এসেছে, যা শুনে নতুন করে আলোড়ন উঠেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। অনেক সময় তা গুজব হলেও বেশিরভাগ সময়েই তা নতুন চমকই সামনে এনেছে। যেমন হঠাৎ করে গতকাল সামনে আসে ভারতী ঘোষ বিজেপিতে যোগ দিয়ে সরাসরি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে আবেদন করেছেন, এমনকি পৃথকভাবে মুকুল রায়কেও এনিয়ে চিঠি দিয়েছেন। গতকাল দলীয় কাজে দিল্লি উড়ে যাবার আগে মুকুল রায় দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে অবশ্যম্ভাবী ভাবে এই নিয়ে তাঁকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর প্রশ্নোত্তর পর্ব নিম্নরূপ ছিল – পদত্যাগের পর ভারতী ঘোষের সঙ্গে আপনার কোনো যোগাযোগ হয়েছিল? মুকুল রায় – পদত্যাগের পর ভারতী ঘোষের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই কি ফাঁসানো হয়েছে ভারতী ঘোষকে? মুকুল রায় – সব আইপিএস অফিসারই আমার ঘনিষ্ঠ, ভারতী ঘোষের মতো রাজীব কুমার বা সুরজিৎ করপুরকায়স্থও আমার ঘনিষ্ঠ। আর এখানেই নতুন করে রহস্য খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ভারতী ঘোষের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজীব কুমার বা সুরজিৎ করপুরকায়স্থের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি এক ঢিলে একসঙ্গে অনেক পাখি মেরে ফেললেন বলে মনে করছেন তাঁরা। একদিকে যেমন ভারতী ঘোষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কথা অস্বীকার করছেন না, অন্যদিকে ভারতী ঘোষের বদলি বা ইস্তফার দায় তিনি নিচ্ছেন না। আর সব শীর্ষ আইপিএস অফিসারদের সঙ্গে নিজের যোগাযোগের কথা জানিয়ে তিনি যেমন তৃণমূল নেত্রীকে বার্তা দিলেন যে তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্কের জেরে কারোর বদলি হয়ে থাকে, তাহলে কতজনকে বদলি করবেন? দ্বিতীয়ত পুলিশ অফিসারদেরও তিনি ঘুরিয়ে বার্তা দিয়ে রাখলেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। আপনার মতামত জানান -