কংগ্রেস, সিপিআইএম ও মাওবাদীদের একাসনে বসিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ বিশেষ খবর রাজ্য January 1, 2018 বর্তমান রাজ্য-রাজনীতিতে ভাঙড় একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য জায়গা অবলম্বন করে নিয়েছে। এখানকার জমি আন্দোলন নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালনা থেকে শুরু করে ঘরছাড়া করার অভিযোগ যেমন একদিকে উঠেছে, অন্যদিকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হস্তক্ষেপ পর্যন্ত করতে হয়েছে। আর সেই ভাঙড়ের জমি আন্দোলন নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিতর্কিতভাবে গতকাল সিপিআইএম, কংগ্রেস ও মাওবাদীদের একাসনে বসিয়ে দিলেন। দিলীপ বাবু নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানান, পাওয়ার গ্রিড নিয়ে আন্দোলন আসলে সিপিসিএম, কংগ্রেস ও মাওবাদীদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। তিনি আরো বলেন, কোনও একটা জায়গায় খুঁচিয়ে ঘা করে সংবাদে আসতে চাইছে এরা। কিন্তু, সরকারও সাফল্যের সঙ্গে এর সমাধান করতে পারেনি। এরা জমি নিয়ে বহুদিন রাজনীতি করছে। সিপিআইএম আমলে জমি অধিগ্রহণ হয়েছে, অথচ সেই জমির সদ্ব্যবহার হয়নি। তাই মানুষ আজ জমি দিতে চাইছে না, আর তাই বিদ্যুতের জন্য জমি পেতেও মুশকিল হচ্ছে। ওখানে অনেক মানুষ আছে, যারা এক সময়ে জমি দিয়ে দিয়েছে জমির টাকাও নিয়েছে। কিন্তু লোভ দেখিয়ে সিপিএম, কংগ্রেস তাদের দিয়ে হুজ্জুতি করছে, নিন্দনীয় ব্যাপার। সরকারের দায়িত্ব সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা। অন্যদিকে সমগ্র ভাঙড় কান্ড নিয়ে তিনি একহাত নেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকেও। তিনি বলেন, ভাঙড় সমস্যা তৈরি করেছে দুপক্ষ, আজ দুপক্ষ লড়ছে।সিপিআইএম, কংগ্রেস তাদের অস্তিত্ব বাঁচানোর চেষ্টা করছে, তাদের সঙ্গে মাওবাদীরাও আছে। পশ্চিমবঙ্গে তাদের শিকড় উপড়ে যাচ্ছে, তাই বাধ্য হচ্ছে রাস্তায় নেমে সংবাদে আসতে। তৃণমূল একবার বলে জমি দেবেন না, যে জমি দেবে না, তার জমি জোর করে নেব না। আর এখন পুলিশ, গুন্ডা, বোমা-বন্দুক দিয়ে আন্দোলনকে গায়ের জোরে বন্ধ করার চেষ্টা করছে, এটা তৃণমূলের নীতি হয়ে গেছে। যারা বিরুদ্ধে কিছু করবে, তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এভাবে কোনও আন্দোলনকে বন্ধ করা যায় না, যদি হত তাহলে তৃণমূল ক্ষমতায় আসত না। নন্দীগ্রামের ইতিহাস আমরা ভুলিনি, সেই একই জিনিস আবার হতে যাচ্ছে, তৃণমূলকে তার মূল্য দিতে হবে। তৃণমূল মানুষের আস্থা হারিয়েছে, তাই গায়ের জোরে সবকিছু করার চেষ্টা করছে। ভাঙড়ে তৃণমূলের কয়েকজন কুখ্যাত নেতা আছেন, রেজ্জাক সাহেব থেকে আরাবুল পর্যন্ত সবার ট্র্যাক রেকর্ড লোকের জানা। একটা জিনিস মনে রাখা উচিত, বোমা-বন্দুক দিয়ে আন্দোলন হতে পারে না, আন্দোলনের সমাধানও হতে পারে না। দুজনেই ভুল রাস্তায় যাচ্ছে, বাংলার সর্বনাশ করছে। আপনার মতামত জানান -