এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ভরসা নেই ইভিএমে, কর্মীদের প্ৰত্যন্ত এলাকায় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

ভরসা নেই ইভিএমে, কর্মীদের প্ৰত্যন্ত এলাকায় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর


ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনে ব্যালেট পেপারের দাবীতে বারবার সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। এই অভিযোগের মুখে কার্যত একরকম কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সম্প্রতি ভোটে ইভিএম ব্যবহারকেই মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এতে স্বাভাবিকভাবেই নাখুশ অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলো।

মধ্যপ্রদেশে ভোটগ্রহণ চলাকালীন ফের একবার ভোটযন্ত্রের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শোরগোল ফেলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পুরুলিয়ার বলরামপুরের দলীয় সভার মঞ্চ থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন,ভোটযন্ত্রের কোনো গোলযোগ ধরা পড়লেই সমস্ত দায় নিতে হবে কমিশনকেই।

প্রসঙ্গত,মধ্যপ্রদেশের ভোট শুরু হতেই ভোটযন্ত্র খারাপ হওয়ার খবর কানে এসেছে,এমনটাই দাবী বঙ্গের নেত্রীর। বিরোধীরা তো নির্বাচন থেকে ইভিএমের বদলে ব্যালেট পেপার আনার কথাই বলেছিলেন। কিন্তু বিরোধীদের কথা শোনা হয়নি। এবার যদি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ওঠে,তাহলে সমস্ত দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এ নিয়ে আগামী মাসে দিল্লিতে বিরোধী দলগুলোর বৈঠকে তিনি সবর হবে,এমনটাও হুমকি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

পুরুলিয়ার বলরামপুর সভা থেকেই কার্যত ১৯ জানুয়ারির বিগ্রেড সমাবেশের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিগ্রেড জনসভায় দেশের ২০ টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহন করেছেন বলেই জানালেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়া বিজেপির উত্থান হয়েছে। তাই দলীয় কর্মীদের এদিন সংগঠন আরো মজবুত করার কড়া বার্তা দিলেন তিনি। বললেন,প্রত্যন্ত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে।

রাজ্যসরকারের জনস্বার্থমুখী প্রকল্পগুলোর প্রচার করে জনসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন নেত্রী। এছাড়া বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচির তীব্র সমালোচনা করলেন নেত্রী বিজেপির রথকে ‘রাবনের রথ’ বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,’বড়বড় বিলাসবহুল গাড়ি। ভিতরে  যার কনকনে ঠান্ডা। ভিতরে ফাইভ স্টার হোটেল। সেখান থেকে নেতারা মাঝে মাঝে বেরোবেন। আর ভাষণ দিয়ে দাঙ্গা বাধাবেন। রাবন যাত্রা করবেন।’

এরসঙ্গে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বললেন,বিজেপির রথযাত্রার পরদিনই রাজ্যের অশুচিতা দূর করতে একই রাস্তা দিয়ে ‘পবিত্র যাত্রা’ কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ তাঁর মতে,রথযাত্রার নামে রাজ্যে বিভেদের রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। তাই তারপরই পবিত্রযাত্রার নামে সম্প্রীতির বার্তা রাজ্যবাসীকে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই কর্মসূচি করার পরিকল্পনা তৃণমূলের।

এদিন ভাষণে আগাগোড়াই বিজেপি,সিপিএম ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন,ঝাড়খন্ড থেকে দুষ্কৃতিরা এ রাজ্যে ঢুকে ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান তুলে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। এখানে কিছু মানুষ যারা আগে লাল জামা পড়ত,এখন গেরুয়া জামা পরছে। অর্থাৎ সিপিএমরা দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে,এটা নিয়েও বিরোধীদের কটাক্ষ করেন নেত্রী। বলেন,সিপিএম-ই বিজেপিকে বাংলায় ঢুকিয়েছে।

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য,এবছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেনজির ভাবে গেরুয়া ঝড়ে তৃণমূল শূন্য হয়ে গিয়েছে পুরুলিয়ার বলরামপুর এলাকা। পঞ্চায়েত সমিতিতে মাত্র ৩ টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। এই ফলাফলে ব্যাপক চাপে পড়ে যায় শাসকদল। ফর্মে ফিরতে পুরুলিয়া দায়িত্ব নেত্রী তুলে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে৷ এরপর নেত্রী নিজেও দফায় দফায় পুরুলিয়ায় গিয়েছেন দলীয় সংগঠনকে মজবুত করতে। আগামী লোকসভা নির্বাচনেই পুরুলিয়ায় জোড়া ফুলের ম্যাজিকে পদ্ম উৎখাত সহজ হবে,এমনটাই আশা তৃণমূল নেতৃত্বের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!