হুগলি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধে কি এবার বহিস্কার হলেন দুই হেভিওয়েট নেতা, জল্পনা তুঙ্গে রাজ্য June 12, 2018 হুগলী জেলার তারকেশ্বরে দুই নেতার বিবাদের কথা রাজ্যের শাসকদলের রাজ্য স্তরের নেতাদের কারোর অজানা নয়। হুগলির দুই পুরসভা ও পুর নিগমে বেশ কয়েকটি পদের মেয়র পরিষদ বদল করেও এখানকার দুই নেতা এবং তাদের দলবলের মধ্যেকার বিবাদ মেটানো যায়নি। তবে এবার এই বিবাদ মেটাতে উদ্যোগ নিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই বিবাদের স্থায়ী সমাধানের জন্যে জেলা পর্যবেক্ষক, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এদিন কলকাতায় হুগলী জেলার দুই বিক্ষুদ্ধ এলাকা চন্দননগর ও তারকেশ্বরের পুর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করলেন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত, যুগ্ম কার্যকরী সভাপতি অসীমা পাত্র ও প্রবীর ঘোষাল এবং দুই বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন ও রচপাল সিংহ প্রমুখ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। উল্লেখ্য আগেই রাজনৈতিকমহলে জল্পনা শোনা গেছিলো তারকেশ্বর পুরসভার দুই দাপুটে নেতা চেয়ারম্যান স্বপন সামন্ত ও ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুণ্ডুর বহিঃস্কার প্রসঙ্গে । আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এদিনের বৈঠকের পরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নিলেন তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে আবার চন্দননগর পুরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও স্বৈরাচারের অভিযোগ তুলে , তাঁকে নিগমের ডেপুটি মেয়র মায়া ঘোষ, মেয়র পারিষদ পার্থ চক্রবর্তী, অজয় ঘোষ সহ মোট চার জন চিঠি দেন। চিঠির প্রতিলিপি দেওয়া হয় চন্দননগরের পুর কমিশনার ও পুর নিগমের চেয়ারম্যানকে। েই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই দলের আভ্যন্তরীণ বিবাদ প্রকাশ্যে আসে। গোপণ সূত্রের খবর অনুসারে এই ঘটনার পরে মেয়র রাম চক্রবর্তী জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের সাথে সাক্ষাৎ করে মেয়র পদে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান। সব মিলিয়ে পুরসভার অন্দরের পরিস্থিতি বেশ খারাপ। এই সব বিষয়ে পর্যালোচনা করতেই এদিনের বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন জেলা পর্যবেক্ষক, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বৈঠক প্রসঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি আগেই বলেছিলেন , “আলোচনার জন্য চন্দননগর ও তারকেশ্বরের সমস্ত দলীয় কাউন্সিলরকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সেখানে সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে।” তবে এখনো মুখ না খোলায় সরগরম রাজনৈতিক মহল। কি হলো বহিস্কার করা হলো নাকি কড়া ধমক দিয়ে বিষয়টি মেটানো হলো তা নিয়েই এখন ঘুম নেই রাজনৈতিকমহলের। তবে এত হেভিওয়েট নেতা -নেত্রীরা যখন বৈঠক করেছেন তখন কিছু বড় রকমের সিদ্ধান্ত যে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিকমহল। আর তাই কি সিদ্ধান্ত হলো সেই নিয়েই রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। আপনার মতামত জানান -