এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মোদির সঙ্গে “যুদ্ধ” জারি রাখলেন মমতা! রাজ্যের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা!

মোদির সঙ্গে “যুদ্ধ” জারি রাখলেন মমতা! রাজ্যের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা!

লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদী বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরজা সকলেরই দেখা। তবে নির্বাচন মেটার পর কেন্দ্রে সেই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি সেখানে যাননি। যা নিয়ে রাজনৈতিক-বিরোধীতার উর্ধে উঠে অনেকেই তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

তবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে না গেলেও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থ, শিষ্টাচার ও সৌজন্যতাকে বিসর্জন দিয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ডাকা সেই নীতি আয়োগের বৈঠকে না গিয়ে ফের কেন্দ্রের সাথে রাজ্যের সংঘাতকে আরও চওড়া করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বস্তুত, এই নীতি আয়োগের বৈঠকে রাজ্যের পক্ষ থেকে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাজ্যের উন্নয়নের কথা ভেবে প্রায় প্রত্যেকেই সেই কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার এই বৈঠকেই না যাওয়ায় রাজ্যের উন্নয়নে তাঁর সদর্থক ভূমিকা নিয়েই উঠতে শুরু করল প্রশ্ন। কেন যাচ্ছেন না তিনি কেন্দ্রের এই নীতি আয়োগের বৈঠকে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া এক চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “2014 সালের 15 ই আগস্ট আপনি যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নতুন প্রতিষ্ঠান গঠিত হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন। কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করে যেভাবে যোজনা কমিশন তুলে দিয়েছেন, তাতে আমি স্তম্ভিত। প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যোজনা কমিশনের পরিবর্তে নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ার বদলে নীতি নির্ধারণের দায়িত্বগুলো আন্তঃরাজ্য পর্ষদ বা ইন্টার- স্টেট কাউন্সিলের হাতে দেওয়া হোক।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত 2015 সালের 1 জানুয়ারি নীতি আয়োগ নামে নতুন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়েছে। রাজ্যগুলিকে অর্থ বরাদ্দ করার যে ক্ষমতা যোজনা কমিশনের কাছে ছিল, তা তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ করার মতো ক্ষমতা, রাজ্যগুলি পরিকল্পনায় সহায়তা করার কোনো ক্ষমতা এই নীতি আয়োগের নেই। তাই এমন একটি প্রতিষ্ঠানের মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার কোনও মানে হয় না।” তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগ নিয়ে তার আপত্তির কথা জানালেও যেভাবে রাজ্যের স্বার্থ বিঘ্নিত করে তিনি কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হলেন না, তা নিয়ে সমালোচনার সুর শোনা গেছে বিরোধীদের গলায়।

বিজেপির অভিযোগ, আসলে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়েই রাজ্যের উন্নয়নকে বিসর্জন দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। নীতি আয়োগের বৈঠকে গিয়ে তিনি তার সমস্যার কথা জানালেই তো তা সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু তা না করে যেভাবে তিনি কেন্দ্রের বিরোধিতায় মশগুল হলেন, তাতে রাজ্যের উন্নয়নের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের যদি কোনো অভিযোগ থাকত, তাহলে তিনি সেখানে গিয়েই তা বলতে পারতেন। কিন্তু তা না করে যেভাবে তিনি কেন্দ্রের এই বৈঠকে অনুপস্থিত হওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন, তাতে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েই উঠতে শুরু করল প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!