এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আবারও তৃণমূলের ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, অস্বস্তি বাড়ছে দলের অন্দরমহলে

আবারও তৃণমূলের ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, অস্বস্তি বাড়ছে দলের অন্দরমহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমস্যা আজকের নয়, বহু দিনের। বিভিন্ন সময়ে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকেও বহুবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নামক অস্বস্তির কাঁটাকে তুলে ফেলার সর্বতোভাবে চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু তাও তিনি সফল হননি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটে জিতে রাজ্যের শাসকের জায়গায় এসেছে তৃণমূল। তা সত্ত্বেও সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখনো পিছু ছাড়ছেনা। কার্যত কথা হচ্ছে, উত্তর 24 পরগনার বাগদা অঞ্চলটি ঘিরে সেখানে পূর্ত দপ্তরের রাস্তায় ড্রেন নির্মাণের কাজ নিয়ে এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং অঞ্চল সভাপতির মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো।

এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কার্যত জানা যাচ্ছে, বাগদা ব্লক অফিসের সামনে পূর্ত দপ্তরের তৈরি একটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণের বরাত পেয়েছিল ঘোষ কনস্ট্রাকশন নামক একটি সংস্থা। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এই কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করতে প্রতিনিয়ত বাধা দিয়েছেন। সম্প্রতি কাজ শুরু করতে গেলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রীতিমতন পুলিশের ভয় দেখান ওই সংস্থাকে। পাশাপাশি মিস্ত্রিদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ তুলেছে নির্মাণকারী সংস্থা। এরপর ওই নির্মাণকারী সংস্থা বিচারের জন্য বাগদা তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি এবং বাগদা যুব তৃণমূল সভাপতির দ্বারস্থ হন। তাঁদের ভরসা পেয়ে নির্মাণকারী সংস্থা কাজ শুরু করতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে নির্মাণকারী সংস্থার তরফ থেকে শুভজিত ঘোষ নামক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বারবার তাঁদের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন। তিনি রীতিমতো ভোটের আগে তাঁর দলের ছেলেদের জামা কাপড় দেওয়ার কথা বলেছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ইঙ্গিত করছে টাকা-পয়সার দিকে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তথা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জিত সর্দার অভিযোগ করেছেন, পরোক্ষভাবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আক্ষরিক অর্থে টাকা নিতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে সামনে রেখে এই অন্যায় ঠিক নয়। অন্যদিকে আবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমস্ত অভিযোগ আস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি কোন সময় অসৎ পথে এক পয়সা নেননি।

তৃণমূলকে সামনে রেখে তিনি কখনো অসৎ কাজকে সমর্থন করবেননা বলেও জানিয়েছেন। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপারে কেউই কোনভাবে মুখ খোলেননি। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে বাগদা বিজেপি এক নম্বর মন্ডল সভাপতি সুজয় কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, আর্থিক লেনদেন যদি হয় তা অত্যন্ত অন্যায়। যেকোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে হওয়া প্রয়োজন। সব মিলিয়ে বাগদা অঞ্চলের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূল শিবিরকে। আপাতত এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের রেশ যে এত তাড়াতাড়ি শেষ হবেনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে এবার দলের পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!