এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বাড়িতে সামান্য এই কয়টি কাজ করলেই কিন্তু মা লক্ষ্মী তাঁর কৃপাদৃষ্টিতে ভরিয়ে দেবেন অর্থভাণ্ডার!

বাড়িতে সামান্য এই কয়টি কাজ করলেই কিন্তু মা লক্ষ্মী তাঁর কৃপাদৃষ্টিতে ভরিয়ে দেবেন অর্থভাণ্ডার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  লক্ষ্মী হলেন একজন হিন্দু দেবী, যিনি ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের প্রদানকারী হিসেবে পরিচিত। তিনি বিষ্ণুর পত্নী এবং তাঁর অপর নাম মহালক্ষ্মী। পৌরাণিক মতে, তিনি বিষ্ণুর শক্তিরও উৎস। বিষ্ণু রাম ও কৃষ্ণ রূপে পৃথিবীতে অবতার গ্রহণ করলে, লক্ষ্মী দেবীও সীতা ও রাধা রূপে তাদের সঙ্গিনী হন। বাংলার সমাজে লক্ষ্মীদেবীকে নিয়ে বিভিন্ন গল্প প্রচলিত আছে। এই গল্পগুলি পাঁচালির আকারে লক্ষ্মীপূজার দিন পাঠ করা হয়। এগুলি তাই লক্ষ্মীর পাঁচালি বলেই পরিচিত। লক্ষ্মীর ব্রতকথাগুলির মধ্যে “বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা” সবচেয়ে পরিচিত। এটি প্রতি বৃহস্পতিবার দিনকে সকাল বা সন্ধ্যায় বাড়ির বধূরা পাঠ করে থাকেন। এছাড়াও “বারোমাসের পাঁচালি”-তেও লক্ষ্মীদেবীকে নিয়ে অনেক লৌকিক গল্পের উল্লেখ পাওয়া যায়।

হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে লক্ষ্মী দেবীকে মনে করা হয় তিনি ধন-ঐশ্বর্য প্রদানকারী দেবী। তাই জীবনের সুখ সমৃদ্ধি থেকে ধন-সম্পদ আনতে লক্ষ্মী দেবীর পূজা করা হয়ে থাকে। তবে লক্ষ্মী দেবীকে পূজা করার বিভিন্ন পদ্ধতি লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন দেবদেবীর যেমন পুজো করার বিভিন্ন বিধি থাকে, তেমন ভাবেই এই লক্ষ্মীদেবীকে পুজো করার বিভিন্ন বিধি প্রচলিত আছে। তবে তাদের মধ্যে থেকে ঠিক কি করলে দেবীর কৃপা দৃষ্টি লাভ করা যায়, সেক্ষেত্রে কিছু জিনিসের উপর নজর রাখা যেতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা হয়, লক্ষ্মী চঞ্চলা। তাই লক্ষ্মী পুজোর সময় প্রথমেই শান্তভাবে খুব সাবধানতার সঙ্গে এই দেবীর পূজা করতে হয়। তবেই তিনি প্রসন্ন হন। এছাড়া প্রতিদিন সকাল বেলায় বিশেষ করে বৃহস্পতিবারে স্নান সেরে সাদা শাড়ি বা কাপড় পরে লক্ষ্মী পূজা করলে সুফল পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। অনেকে যেদিন লক্ষ্মী পূজা করে সেইদিনকে সাধারণত অনেকে নিরামিষ খেতে পছন্দ করেন। তবে লক্ষীদেবীকে যেহেতু সধবা ভাবেন অনেকেই, তাই এই দিন আমিষ খাবার খেয়ে থাকেন। তবে নিরামিষ বা আমিষ যেকোনো খাবারের সঙ্গে এই দিন দুধ এবং চালের পায়েস করে তা লক্ষ্মী দেবীকে উৎসর্গ করলে অনেক ক্ষেত্রে শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়া লক্ষ্মীপুজোর ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয় শঙ্খ। তাই শঙ্খকে এইদিন পরিষ্কার করে যত্ন করে লক্ষ্মী দেবীর সামনে রাখলেও লক্ষীদেবী সন্তুষ্ট হন বলে মনে করা হয়।

লক্ষ্মী পূজার দিন সকালে লক্ষীর ঘটের নারকেল রাখতে পারেন। এই নারকেলকে হলুদ সিঁদুর মাখিয়ে রাখলেও ঠাকুর ঘরে লক্ষী দেবীর আগমন হয় এবং জীবন ধন সম্পদে সম্পূর্ণ হয় বলে মনে করা হয়। এছাড়া বাড়িতে নারকেল রাখাও বাস্তুর পক্ষে ভালো বলে মনে করা হয়। লক্ষ্মী দেবী যেহেতু বিষ্ণুর স্ত্রী হিসেবে পরিচিত, এবং বিষ্ণুর যেহেতু পদ্মফুল পছন্দ তাই লক্ষীদেবী পদ্মফুলে সন্তুষ্ট হন বলেও মনে করা হয়। তাই বৃহস্পতিবার পূজা করার সময় লক্ষ্মীদেবীকে পদ্মফুল অর্পণ করলে বাড়িতে আর্থিক স্থিতি এবং উন্নতি দুটোই আসে বলে মনে করা হয়। এছাড়াও লক্ষীদেবী কর্পূরের গন্ধে সন্তুষ্ট হন বলে মনে করা হয়। তাই ঠাকুরঘরে কর্পূর রাখলে বাড়িতে লক্ষ্মী দেবীর অবস্থান হয় বলেও মনে করেন অনেকে। তবে সেই সঙ্গে লক্ষ্মী দেবীর একটি স্তোত্র পাঠ করতে পারেন। “ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ-সৃণিভির্ষাম্য-সৌম্যয়োঃ।পদ্মাসনাস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রিয়ং ত্রৈলোক্যমাতরম্।।” এই স্তোত্রটি তিনবার পাঠ করলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে বলেই মনে করেন অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!