এবার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ধমকালেন মুখ্যমন্ত্রী, কারণ কি ? রাজ্য November 30, 2017 সময়টা সত্যিই ভালো যাচ্ছে না শোভনবাবুর। একদিকে নারদ নিয়ে টানাটানি,অন্যদিকে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা,আবার ইডি,সিবিআই দফতর থেকে স্ত্রীকে তলব,যেসব তো ছিলই। এবার আবার ধমক খেলেন শোভনবাবু। বিধানসভার বাইরে সকলের সামনেই একেবারে প্রকাশ্যে নাকি ধমক খেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় কানন।দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহিলা তৃণমূলের নবনিযুক্ত ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট স্বাগতা ঘোষ দাস। সূত্রের খবর, চিঠি পৌঁছলেও কীভাবে কাজ করবেন তা তাঁকে জানাননি শোভনবাবু। তাই, আজ সোজা তৃণমূল নেত্রীর দরবারে যান স্বাগতা। তাঁকে বলেন, “চিঠি পেয়েছি। কিন্তু, কীভাবে কাজ করব বুঝতে পারছি না।” সেসময় পাশেই ছিলেন শোভনবাবু। মমতা তাঁকে হালকা ধমক দিয়ে বলেন, “তুই ঠিক কর, আগে কাজ করবি নাকি মামলা করবি।” উত্তরে শোভনবাবু বলেন, “ওঁকে তো চিঠি দিয়েছি।” জবাবে সন্তুষ্ট হননি তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, “শুধু চিঠি দিলেই হবে ? কাজটা দেখিয়ে দিতে হবে তো।” যতদূর জানা যাচ্ছে আসলে ভেতরে ভেতরে একটু হলেও শোভনবাবুর উপর ক্ষুব্ধ দলনেত্রী। কারণ হলো শোভনবাবু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল সভাধিপতি আর তাঁর স্ত্রী রত্না ওখানকার তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী। আর শ্বশুর দুলাল দাস তো মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান।ফলে শোভনের এই পারিবারিক বিবাদে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন ,এই নিয়ে নাকি আবার কেউ কেউ দলের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যার জেরে মমতা শোভনকে ডেকে কড়কে দিয়েছেন।ধমকের উদ্দেশ্য একটাই সেটা হলো পারিবারিক বিবাদ সরিয়ে রেখে দলের কাজে মন দেওয়া। আপনার মতামত জানান -