আশঙ্কা সত্যি করে মোদী সফরের আগেই অসুস্থ বড় মা, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘিরে অনিশ্চয়তা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য January 30, 2019 আশঙ্কাকে সত্যি করে মোদী সফরের মাত্র ৪ দিন আগে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেন মতুয়া সংঘের বড়মা বীণাপানি দেবী। ঠাকুরবাড়ি সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,সোমবার রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বীণাপানি দেবী৷ পরদিন ডাক্তার এসে তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালোভাবে খতিয়ে জানান,ঠান্ডায় বুকে কফ জমে সংক্রমণ হয়েছে। যার কারণে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এই অবস্থায় মতুয়া সংঘের বড়মার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আদৌ দেখা করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হল। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে নিশানা করেই ঠাকুরনগরে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মোদী। যদিও ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় কোনো রাজনৈতিক রং লাগাতে রাজি নয় বিজেপিশিবির। তবে বিরোধীদের দাবী,লোকসভা ভোটের আগে ঠাকুরনগরে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী সভার নেপথ্যে আছে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক দখলে রাখার পরিকল্পনা। তাই প্রথম থেকেই ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রীর এই সভাকে আপত্তি জানিয়ে আসছে তৃণমূল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এটাও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানিয়ে দিয়েছেন,প্রধানমন্ত্রী ওদিন কোনোভাবেই বড়মার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। বলেছিলেন,’বড়মা দরজা বন্ধ করে বসে থাকলে কি ভেঙে ঢুকবেন মোদী?’ তৃণমূলের তরফ থেকে এই হুঁসিয়ারী আসার পর স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিকমহলে জল্পনা চলছিল বড়মার সাক্ষাৎ এড়াতে তৃণমূল কী করতে পারে! সেই জল্পনাকে উস্কে দিয়েই মতুয়া সংঘের সংঘাধিপতি তথা তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর জানালেন,’কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন বড়মা। তাঁর চিকিত্সার জন্য ৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।’ তবে মমতাবালা ঠাকুরকে সংঘাধিপতি বলে মানেন না বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর। এমনকি বড়মা যে অসুস্থ সে খবরও মানতে অস্বীকার করলেন তিনি। বললেন,’বড় মা-কে নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতাবালা। তাঁর অসুস্থতার খবর আসলে নাটক। উনি বড় মা-কে আটকে রাখতে পারেন, কিন্তু জনগণকে আটকে রাখতে পারবেন না। ওনার রাজনৈতিক দিবস শেষের মুখে।’ এসব বলার পর বড়মাকে রাজনীতিমুক্ত করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন। পাল্টা প্রশ্নও ছোঁড়েন তৃণমূলের উদ্দেশ্য। বলেন,বড়মার বয়স ৯৮ বছর। তাই তাঁর এখন তাঁর কথা বলার ক্ষমতাও নেই। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছেন মমতাবালা। যা খুশি তাই প্রচার করছেন। ভক্তদেরও ওঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। শান্তনু ঠাকুরের এই অভিযোগের প্রত্যুত্তরে পাল্টা জবাব এখনো আসেনি মমতাবালার তরফ থেকে। আপনার মতামত জানান -