প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে কোন কোন আচরণবিধি জারি হলো তৃণমূলের বিধায়কদের ওপর, জেনে নিন কলকাতা রাজ্য July 15, 2019 ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ভোট ম্যানেজার প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিশেষ সূত্রে জানা গেছে মুখ্যমন্ত্রীকে আলটপকা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন প্রশান্ত। দলের কিছু নেতাকে সামনের সারি থেকে সরিয়ে দিতেও বলেছেন। এবার প্রশান্তের পরামর্শ অনুযায়ী তৃণমূলের বিধায়কদের জন্য সুনির্দিষ্ট আচরণবিধি তৈরী করে তা বিধায়কদের ডেকে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল ভবনে সমস্ত বিধায়ককে ডাকা হয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছিল যে ২১ শে জুলাই শহীদ দিবসের প্রস্তুতি হিসেবে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু শহীদ দিবস সংক্রান্ত আলোচনার চেয়েও সভায় বেশি প্রাধান্য পায় বিধায়কদের প্রতি দলনেত্রীর সতর্কবার্তা এবং আচরণবিধি সংক্রান্ত পরামর্শ। গতকাল তৃণমূল ভবনে বিকেল ৩টের সময় বিধায়কদের আসতে বলা হয়েছিল। তার ১ ঘণ্টা আগে সেখানে পৌঁছন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত হন প্রশান্ত কিশোর ও। সূত্রের খবর, প্রশান্ত কিশোরের বেঁধে দেওয়া আচরণবিধিই মমতা ব্যানার্জী জানিয়ে দেন বিধায়কদের।যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে এই বৈঠকের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের ভোট ম্যানেজার প্রশান্ত কিশোর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই সভায় মমতা ব্যানার্জী স্পষ্ট বার্তা দেন যে বিধায়কদের নিজস্ব এলাকায় নিজের ভাবমূর্তির উন্নতি করতে হবে।সহজ সরল জীবনযাপনের পাশাপাশি বিধায়করা যেন কোনো রাজনৈতিক সংঘর্ষে জড়িয়ে না পড়েন।এমনকি বিধায়কদের দলের কর্মীদেরও রাজনৈতিক সংঘর্ষ থেকে বিরত রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। একইসঙ্গে দলনেত্রীর নির্দেশ বিধায়করা যেন আগামীদিনে জনসংযোগে জোর দেন। সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকতে হবে জনপ্রতিনিধিদের এমনটাই বার্তা দেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে দলের তরফে বিধায়কদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন প্রত্যেকেই মিডিয়ার সম্মুখে বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে দূরে থাকেন।আলটপকা বা বেফাঁস কথাবার্তা একেবারেই বলা যাবেনা। সাম্প্রতিককালে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের নেতারা কাটমানি বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়কদের প্রতি নির্দেশ যে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। এড়িয়ে গেলে বা নিজেদের গুটিয়ে নিলে অবনতি হবে এমনটাই জানানো হয়েছে।বিধায়কদের দলনেত্রী আদেশ দিয়েছেন তারা যেন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে সময় দেন। নিজের এলাকা ছেড়ে বাইরে যেতে গেলে এর পর থেকে দলের অনুমতি নিতে হবে এমনটাই জানান হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এই কথা বলে দলনেত্রী তৃণমূলের বিধায়কদের গতিবিধি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে চেয়েছেন। নেতা মন্ত্রীদের দলবদলের প্রবণতা রুখতেই তাঁর এই পদক্ষেপ বলে করা হচ্ছে। জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য এদিনের বৈঠকে বিধায়কদের কিছু বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। বিধায়কদের প্রত্যেককে আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের চার জন করে কর্মীর নাম নেতৃত্বের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে । এঁদের মধ্যে দু’জন থাকবেন বুথ স্তরের কর্মী।তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া দেখভাল করেন এমন একজন ও বিধানসভার সাংগঠনিক স্তরে আছেন এমন একজনকে নিয়ে ৪ জনের এই তালিকা তৈরী করতে বলা হয়েছে।এই নামের তালিকা মাধ্যমে শুধুমাত্র বিধায়ক নয়, একেবারে নীচের স্তরের কর্মীদের সঙ্গেও এ বার থেকে যোগাযোগ রেখে চলতে পারবে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব। তৃণমূল ভবনে হওয়া এই বৈঠকে হাজির ছিলেন না বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।তাঁর অনুপস্থিতির কারন হিসেবে পূর্বনির্ধারিত নিজস্ব কর্মসূচি ছিল এমনটা জানান হয়েছে। অনুপস্থিত ছিলেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। বেশ কিছদিন ধরেই তিনি দলের সঙ্গে কোনোরকম সংশ্রব রাখতে চাইছেন না।তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনুপস্থিতির তালিকায় একটা নাম জুড়েছে এই দিনের বৈঠকে। তিনি নিউটাউন-রাজারহাটের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। আপনার মতামত জানান -