প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য আন্দোলনকে অন্য মাত্রা দিলো আব্দুল মান্নান , চাপে রাজ্য সরকার রাজ্য August 9, 2018 প্রাথমিকে ন্যায্য বেতন কাঠামোর দাবি নিয়ে পথে নেমেছিলেন Usthi united primary teachers association ইউ ইউ পি টি এ। তাদের দাবি হল প্রাথমিকের শিক্ষকতা করার জন্য বর্তমানে যে বেতন ব্যবস্থা চালু আছে তা ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী অনেক কম এবং সেটাকে অন্যায্য বলেই মনে করছেন প্রাথমিক শিক্ষকগণ। তাঁদের মতে একজন প্রাথমিক শিক্ষকের ন্যূনতম যোগ্যতা হলো উচ্চ মাধ্যমিক এবং ২ বছরের ডিএলএড সম্পন্ন। কিন্তু তারা বেতন পান ৫৪০০-২৫২০০ GP- ২৬০০ টাকা । কিন্তু সেই একই যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক অন্য রাজ্যে বেতন পান ৯৩০০-৩৪৮০০, GP- ৪২০০টাকা । তবে কেন এই বৈষম্য ? আর এর প্রতিবাদে আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকগন। অবিলম্বে বেতন কাঠামো সংস্কারের দাবীতে ৭ই আগষ্ট কোলকাতায় UUPTWA (Usthi United Primary Teacher Welfare Association) এর নেতৃত্বে বিশাল সমাবেশ এবং মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে ডেপুটেশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। Usthi united primary teachers association ইউ ইউ পি টি এ -এর ডাকে সেদিন পথে নেমেছিলেন প্রায় 45 হাজারেরও বেশি শিক্ষক শিক্ষিকা। তাঁদের একটাই দাবি ছিল তা হলো প্রাথমিক শিক্ষকদের যোগ্যতা অনুযায়ী সংশোধিত বেতন কাঠামো চালু করতে হবে। এবার এই অরাজনৈতিক সংগঠনের পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। মুখ্যমন্ত্রীর চাপ বাড়িয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান একটি চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি আবেদন করেন যে বর্তমানে রাজ্য সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামো তাদের নূন্যতম যোগ্যতা অনুযায়ী অনেক কম। কিন্তু national council of education এর নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য নূন্যতম যোগ্যতা চাই উচ্চমাধ্যমিকে 50% এবং ২ বছরের ডিএলএড সম্পন্ন প্রশিক্ষণ কিন্তু আমি আপনাকে অনুরোধ করছি দয়া করে বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। বেতন কমিশনের কাছে বিষয়টি পাঠান। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিকে এই অরাজনৈতিক আন্দোলন রাজনৈতিক সঙ্গ পাওয়ায় রাজনৈতিক মহলের ধারণা এবার এই আন্দোলন আরো জোরদার হল। এবং এর ফলে রাজ্য সরকারের চাপ আরো বাড়লো বই কমলো না বলেই মত রাজনৈতিকমহলে। কেননা জানা গেছে গত 7 তারিখে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নান ,সুজন চক্রবর্তী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এনারা শাসকদলকে চাপে ফেলতে যে এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না তা বালাই বাহুল্য। ফলে এই আন্দোলন রাজনৈতিক মোড়কে এবার নতুন রূপ নিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনার মতামত জানান -