এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজীবের তৃনমূলে ফেরার পথে অন্তরায় এই নেতা? কুনালের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেও বাড়ছে জটিলতা!

রাজীবের তৃনমূলে ফেরার পথে অন্তরায় এই নেতা? কুনালের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেও বাড়ছে জটিলতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্য রাজনীতিকে বরাবরই তিনি ঠোঁটকাটা বলেই পরিচিত। রাজ্যের বিগত বাম সরকার হোক বা কেন্দ্রের পরিচালিত বিজেপি সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরই ভোটের আগে বিজেপিতে যাওয়া নেতা-কর্মীরা আবার গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে কংগ্রেসে ফিরে আসতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের মত হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন।

আর এরপরই যাকে নিয়ে সবথেকে বেশি জল্পনা শুরু হয়েছে, তিনি হলেন তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ভোটের আগে বিজেপিতে নাম লেখানো ডোমজুড়ের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাত নিয়ে জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস গ্রহণ করবে কি করবে না, তা পরের ব্যাপার। আবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দেবেন কি দেবেন না, সেই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত তিনি তার সিদ্ধান্ত জানাননি। কিন্তু তাকে নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে কুনাল ঘোষের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাত নিয়ে মুখ খুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন কুণাল ঘোষের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রিতীমত বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, “কুণাল ঘোষের কাছে গেল বলেই কি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গা জলে শুদ্ধ হয়ে গেল? ভোটের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসা করেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছেন। তাই তার ওপর কর্মীদের ক্ষোভ রয়েছে। কর্মীরাই দলের সম্পদ। দলে বুথ লেভেলের কর্মীদের গুরুত্ব সবথেকে বেশি।”

বলা বাহুল্য, শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছিলেন, তখন তাদের ব্যাপারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন এই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি অনেক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা দলকে এই সমস্ত নেতাদের ব্যাপারে অবহিত করেছিলেন।

কিন্তু দল তার কথা শোনেনি। অর্থাৎ রাজীববাবু থেকে শুরু করে শুভেন্দুবাবু যে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তা আগেভাগেই জানতেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই এখন আবার স্রোতের পক্ষে আসতে চেয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নানা কার্যকলাপ যে তার কাছে খুব একটা ভালো ঠেকছে না, তা নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে তৃণমূলের নীচুতলায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার দিন কাদের কাদের দল গ্রহণ করবে, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে ভোটের আগে যারা দলকে বিপাকে ফেলে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তাদের ব্যাপারে যে দল বিন্দুমাত্র সহানুভূতি পোষণ করবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

তবে মুকুল রায়ের মত হেভিওয়েট বিজেপি নেতা যিনি প্রথম তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না আক্রমণ করে ধাক্কা দিয়েছিলেন, সেই মুকুল রায় যখন আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন, তখন ধীরে ধীরে দল বিজেপি থেকে দলে যোগদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করা নেতা-নেত্রীদের ব্যাপারেও নরম মনোভাব পোষণ করতে পারে। আর এই পরিস্থিতিতে জল্পনা বৃদ্ধি করে মুকুল রায় যোগদান করার পরের দিনই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বাসভবনে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

কুণালবাবু থেকে শুরু করে রাজীববাবু দুজনেই প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন, এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই। কিন্তু গোটা ঘটনা পরম্পরা যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কিছুটা আলাদা এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আসার ব্যাপারটি যে তিনি কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন, সেই কারণেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যাওয়ার পর নানা ঘটনাকে তুলে ধরে তার দলে আসার রাস্তা বন্ধ করতে চাইলেন এই তৃণমূল সাংসদ।

তবে শেষ পর্যন্ত কাকে দলে গ্রহণ করা হবে, আর কাকে বর্জন করা হবে, তার সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শত চেষ্টা করলেও যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলে প্রবেশ করেন, তাহলে এক্ষেত্রে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত সাংসদের ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!