এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গেরুয়া ঝড় রুখতে এবার ছাত্রভোট নিয়ে নয়া পদক্ষেপ নিল শাসক শিবির

গেরুয়া ঝড় রুখতে এবার ছাত্রভোট নিয়ে নয়া পদক্ষেপ নিল শাসক শিবির


লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় 18 টা আসন দখল করার পরই রাজ্যের কলেজগুলিতে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দাপট দেখতে পাওয়া যায়। আর এর ফলে রাজ্যের কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে এতদিন একাধিপত্য থাকা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে কথায় কথায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সংঘর্ষ বাধতে দেখা যায়।

সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কলেজগুলোতে গিয়ে দাবি তোলা হয়, অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু সরকারপক্ষ এবং শাসক শিবির এই ব্যাপারে কোনোরূপ মুখ না খোলায় এবং নির্বাচনের তেমন কোনো আভাস না পাওয়ায় জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের কলেজগুলিতে নির্বাচনের ব্যাপারে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, আগামী বছর পুরসভা নির্বাচনের আগ দিয়েই রাজ্যের কলেজগুলিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু যে সমস্ত জায়গায় লোকসভা কেন্দ্রগুলি বিজেপি দখল করেছে, সেই সমস্ত জায়গায় কলেজগুলিতে যেভাবে দাপট দেখাতে শুরু করেছে বিরোধী ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, তাতে সেই নির্বাচনে কিভাবে জয়লাভ করা যায়, তা নিয়ে এখন থেকেই ছক কষতে শুরু করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

সূত্রের খবর, কলেজগুলিতে সংগঠন চাঙ্গা করার জন্য নির্বাচনের আগে রাজ্যের প্রতিটি কলেজে নতুন করে ইউনিট তৈরি করার নির্দেশ দিল শাসক দলের ছাত্রসংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে প্রতিটি জেলার জেলা সভাপতিকে একটি নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে কলেজ পড়ুয়াদের ইউনিট কমিটিতে রেখে নতুন ইউনিট কমিটি করতে হবে।

পাশাপাশি ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে একটি প্রশ্নমালা তৈরি করে বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে গোপনীয়তা বজায় রেখে কোন কোন কলেজে কোন বিরোধী সংগঠন শক্তিশালী, কলেজগুলিতে কোন শিক্ষক তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এবং ছাত্রদের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সম্পর্কে কতটা ভাবাবেগ রয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে।

তবে সেই প্রশ্নমালায় উত্তর হিসেবে জেলা নেতৃত্ব যাতে শুধুমাত্র সন্তুষ্ট করার জন্যই উত্তর না দেয়, সেই ব্যাপারেও স্পষ্টভাষায় রাজ্য নেতৃত্ব তাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছে। রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, কলেজগুলিতে সংগঠনের হাল-হকিকত কেমন, তা জানতেই সত্য তথ্য নেওয়া হচ্ছে‌।

তাই জেলার তরপে বাড়িয়ে শুধুমাত্র রাজ্যকে সন্তুষ্ট করার জন্যই যেন তথ্য না দেওয়া হয়। আর কলেজ নির্বাচনে আগেই একদিকে প্রশ্নমালা তৈরি করে জেলার কাছে পাঠানো এবং অন্যদিকে রাজ্যের প্রতিটি কলেজে শক্ত ইউনিট কমিটি গঠন করে বিরোধীদের মোকাবিলা করার জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য নেতৃত্বের এই নির্দেশ আগামী কলেজ নির্বাচনের আগে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “গোটাটাই সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। আমরা ইউনিট কমিটিগুলোতে প্রয়োজনীয় রদবদলের জন্য বলেছি। একটি সমীক্ষাও করা হচ্ছে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলেছেন, এতদিন বিরোধী সংগঠন না থাকার জন্য নিজেদের ছাত্রসংগঠনের দিকে অতটা মনোযোগী হত না তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

কিন্তু এবার সংঘ ঘনিষ্ঠ ছাত্র সংগঠন এবিভিপির দাপট বাড়ার সাথে সাথেই কলেজ নির্বাচনের দামামা বাজতেই কলেজের ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখার জন্যই সাংগঠনিক ভিত মজবুতের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে শাসক দলের ছাত্রসংগঠন। কিন্তু এতদিন পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যেকার এই বোধোদয় আদৌ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রহণযোগ্য হবে কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!