বিদ্যুৎ বিল নিয়ে নতুন আইন আনতে চায় মোদী সরকার, ‘অনৈতিক’ দাবিতে তীব্র বিরোধিতায় রাজ্য সরকার কলকাতা জাতীয় রাজ্য June 6, 2020 এমনিতেই করোনা থেকে ভয়াবহ দূর্যোগ, নানা বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের দ্বৈরথ চরমে উঠেছে। আর এবার দেশের বিদ্যুৎ আইনে প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে তরজায় জড়িয়ে পড়ল রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 17 এপ্রিল একটি নোটিশ জারি করে বিদ্যুত আইনে সংশোধনীর কথা জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই নোটিশ পাওয়ার সাথে সাথেই তার চরম বিরোধিতা করে রাজ্য তৃণমূল সরকার। এদিন তারই অঙ্গ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রকে রাজ্যের তরফ থেকে 24 পাতার চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুৎ যেহেতু যুগ্ম তালিকাভুক্ত বিষয়, তাই কেন্দ্র এর জন্য একতরফাভাবে আইন করতে পারে না। তাই কেন্দ্রের আনা এই আইন অসাংবিধানিক বলে দাবি করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি এই নতুন আইনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। এছাড়াও রাজ্যের পক্ষ থেকে আরও একটি বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে। জানা গেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে গরিবদের জন্য ভর্তুকির বিধান দেওয়া হয়েছে এবং তা যেভাবে লোপ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে রাজ্য সরকারের বিস্তর আপত্তি রয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর দীর্ঘ 24 পাতার চিঠিতে এই ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পক্ষ থেকে এই চিঠি পাঠানোর পরেই এবার শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন। তাহলে কি এবার বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী করায় কেন্দ্রের সাথে ফের তরজায় জড়িয়ে পড়বে রাজ্য! এদিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে চিঠিতে আপত্তি জানানোর কথা স্বীকার করে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দফতরের তরফে সংশোধনী বিল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখে এই চিঠির খসড়া তৈরি করা হয়।” তিনিআরোও জানান, “তারপর নবান্নের সর্বোচ্চ স্তরে পর্যালোচনার পর সবুজ সংকেত পেয়ে এদিন তা দিল্লীতে পাঠানো হয়েছে।” এদিকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই নতুন আইন করার পর রাজ্য যেভাবে তার বিরোধিতা করে সরব হয়েছে, তাতে খুশি বামেদের সংগঠনগুলো। সব মিলিয়ে এবার রাজ্যের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের নতুন আইনে আপত্তি জানানোয় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে রাজ্যকে কি জানানো হয় এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -