এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর ফাঁকা চেয়ারের ছবি পোস্ট করে কোন ইঙ্গিত দিলেন ‘মর্মাহত’ রাজ্যপাল? তীব্র জল্পনা

মুখ্যমন্ত্রীর ফাঁকা চেয়ারের ছবি পোস্ট করে কোন ইঙ্গিত দিলেন ‘মর্মাহত’ রাজ্যপাল? তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট বাংলার রাজনৈতিক জগত এতদিনে চিরপরিচিত হয়ে গেছে রাজ্য ও রাজ্যপালের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সম্পর্কে। সাম্প্রতিককালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এবং এই নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যপালের বিভিন্ন সময় বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যপাল যেরকম প্রশাসনের শাসন ব্যর্থতা, দুর্নীতি, আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়া এবং শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কড়া মনোভাব জাহির করেছেন, ঠিক সেভাবেই রাজ্যপালকেও কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।

আর তাতে বিতর্ক আরও দানা বেঁধেছে। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের দিন হঠাৎ করেই ছবিটা পাল্টে গেল। রেড রোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা হাজির হলেন রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে। রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় বলেও জানা যায়। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী তখনই রাজ্যপালকে জানিয়ে দেন, রাজভবনের চা-চক্রে বিকেলে তিনি আসতে পারবেননা। সেসময় রাজ্যপাল ব্যাপারটি মেনে নিলেও পরবর্তীতে রাজ্যপাল অন্য কথা বলছেন।

মুখ্যমন্ত্রীইর চা চক্রে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে মর্মাহত হয়ে রাজ্যপাল একের পর এক টুইট করেন শনিবার। শনিবার রাতে টুইটারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর একের পর এক ছবি দিতে থাকেন সন্ধ্যেবেলার চা চক্রের এবং সেখানে দেখা যায়, একটি চেয়ার ফাঁকা এবং সেটিতে যে মুখ্যমন্ত্রীর নাম লেখা আছে তা বোঝাই যায়। মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত হননি বলে রাজ্যপাল ঠারেঠোরে তাঁর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ প্রসঙ্গে অবশ্য রাজ্যপাল জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি মোটেও রাজ্যে ইতিবাচক সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং এই ঘটনা রাজ্যপালকে যে যথেষ্ট মর্মাহত করেছে তা তিনি একের পর এক টুইটে প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই এই ঘটনায় রীতিমত অবাক হয়েছেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রী যখন সকালে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন, তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি বিকেলের চা চক্রে উপস্থিত হতে পারবেননা। তা সত্বেও কেন এভাবে প্রশাসনকে বিঁধে রাজ্যপাল বাংলার সংস্কৃতির প্রসঙ্গ তুললেন, তা অবশ্য কারওর মাথাতেই ঢুকছেনা।

রাজ্যপালকে বরাবরই দেখা গেছে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারংবার অভিযোগ করতে। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে নালিশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিরোধিতার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে সৌজন্যবোধ যে বজায় আছে তা এদিন মুখ্যমন্ত্রীর রাজভবনে যাওয়া থেকেই পরিষ্কার। তবে বিকেল গড়াতে না গড়াতেই সেই সৌজন্যবোধ যে কোথায় উড়ে গেল তা নিয়ে রীতিমত ধন্দে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!