এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ইন্ডিয়া জোটের দফারফা, অধীরকে বড় দায়িত্ব মোদীর! সিঁদুরে মেঘ দেখছে গান্ধী পরিবার!

ইন্ডিয়া জোটের দফারফা, অধীরকে বড় দায়িত্ব মোদীর! সিঁদুরে মেঘ দেখছে গান্ধী পরিবার!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মিলে তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। ইতিমধ্যেই সেই জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ইন্ডিয়া জোটকে ঘিরে যখন প্রস্তুতি তুঙ্গে বিরোধী নেতা নেত্রীদের মধ্যে, ঠিক তখনই বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে “এক দেশ এক ভোট” নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে সেই কমিটিতে রাখা হলো লোকসভার বিরোধী নেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। আর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দেখে রীতিমত হতচকিত বিরোধী শিবির।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে “এক দেশ এক ভোট” নিয়ম লাগু করতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সকল স্তরের পরামর্শ নিতে চাইছে কেন্দ্র। সেই কারণে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে মাথায় রেখে একটি আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে রয়েছেন, অমিত শাহ, গোলাম নবী আজাদ, এন কে সিংহ, সুভাষ কাশ্যপ, হরিশ সালভে, সঞ্জয় কোঠারি।

তবে আশ্চর্যজনকভাবে এই কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে, লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। যা দেখে অনেকে বলছেন, তাহলে কি বিরোধী জোটে ভাঙ্গন ধরাতে অধীর চৌধুরীকে এই কমিটিতে রেখে ইন্ডিয়া জোটকে বার্তা দিতে চাইল কেন্দ্র! তবে কেন্দ্রের ঘনিষ্ঠ মহলের অবশ্য যুক্তি, এর পেছনে অন্য কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই। অধীরবাবু লোকসভায় বিরোধীদের দলনেতা। তাই তাকে এই কমিটিতে রেখে সকলের মতামত যাতে গ্রহণ করা যায়, তার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার “এক দেশ এক ভোট” নিয়ম লাগু করে লোকসভা ভোটকে আরও এগিয়ে আনতে চাইছে। শুধু তাই নয়, অধীর চৌধুরীকে এই কমিটিতে নিয়ে বিরোধী জোটকে ভাঙ্গার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। একাংশের যুক্তি, ইন্ডিয়া জোটের প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন অধীর চৌধুরীকে এই কমিটিতে রেখে কেন্দ্র গান্ধী পরিবারকে বার্তা দিতে চাইল। বুঝিয়ে দিতে চাইলো, তাদের কাছে সকল স্তরের মতামত নিয়ে রাজনীতি করাটাই রাজধর্মের পরিচয়। তারা বাছবিচার করেন না। আর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে গান্ধী পরিবার যে সিঁদুরে মেঘ দেখছে, তাতে নিশ্চিত পর্যবেক্ষকরা।

যখন বিরোধী জোটের নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট আক্রমণে নামছে, তখন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকে এই কমিটিতে নেওয়া মানে কংগ্রেস নেতৃত্বকে বিরোধী জোটে থাকা অন্যান্য নেতাদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তাদের কাছে এই ধারণা স্পষ্ট করাতে হবে যে, বিজেপির সঙ্গে তাদের কোনো বিষয় নেই। ফলে এটা গান্ধী পরিবারের কাছে একটা বাড়তি চাপের কারণ বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত রীতিমত মাস্টারস্ট্রোক বললে ভুল হবে না। কেন্দ্র “এক দেশ এক ভোট” নীতি নিয়ে বিরোধীদের কাছে সমালোচনার শিকার হচ্ছে। বিরোধীরা নানা কথা বলছে। তবে এসবের ঊর্ধ্বে উঠে বিরোধীরা জোট বাধা সত্ত্বেও কংগ্রেসের দলনেতাকে কমিটিতে নিয়ে কেন্দ্র নিরপেক্ষতার বার্তা দিতে চাইল। বুঝিয়ে দিতে চাইল, তাদের কাছে রাজনীতি নয়, দেশপ্রেম সবার আগে। তবে এসবের মধ্যে রাজনীতি না দেখে কংগ্রেস, অধীর চৌধুরী এবং গান্ধী পরিবার মতামত প্রয়োগ এবং কেন্দ্রকে কতটা সহযোগিতা করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!