এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কয়লা পাচার চক্রে দিল্লীর দপ্তরে জেরা রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রীকে, অস্বস্তি চরমে তৃণমূলের

কয়লা পাচার চক্রে দিল্লীর দপ্তরে জেরা রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রীকে, অস্বস্তি চরমে তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সময়ের সাথে সাথে কয়লা পাচার কাণ্ডে কিন্তু ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। দীর্ঘ সময় যাবত এই কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাদের সন্দেহের তালিকায় এরাজ্যের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তার স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের অনেক মন্ত্রী-সান্ত্রীরাই রয়েছেন। আর এই মন্ত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন এ রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এই মুহূর্তের সব থেকে বড় খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে দিল্লির সদর দপ্তরে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।

জানা গিয়েছে, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের বয়ান ইতিমধ্যে রেকর্ড করা হয়েছে। কার্যত মলয় ঘটক আসানসোলের প্রতিনিধি। সেই সূত্রে কয়লা মাফিয়াদের সম্পর্কে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে কোনো বিশেষ তথ্য আছে কিনা তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কার্যত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ কয়লা পাচার কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্তকারী সংস্থা ইডির দাবি, তদন্তের সূত্রে রাজ্যের আইনমন্ত্রীর নাম সামনে এসেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কার্যত ইডির তদন্তকারীদের দাবি, কয়লা পাচার চক্রে জড়িতদের কাছ থেকে মলয় ঘটকের কাছে রীতিমতো আর্থিক উপঢৌকন দেওয়া হয়েছিল। যদিও এই নিয়ে মলয় ঘটক কি জানিয়েছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। এর আগেও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে ইডি দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তখন অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন, অল্প সময়ের মধ্যে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তারপরেও কয়লা পাচার কাণ্ডে তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রীকে দিল্লি ডেকে পাঠানো হয় ইডির তরফ থেকে।

সেই সূত্রেই আজকে মলয় ঘটক সময়মতন দিল্লির ইডি দপ্তরে পৌঁছান। তবে এই জেরা সূত্রে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ইডি আধিকারিকদের হাতে কি তথ্য তুলে দিয়েছেন, তা অবশ্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে এই ঘটনা যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। উপনির্বাচনের আগে এই ঘটনা নতুন করে তৃণমূলের রক্তচাপ বাড়াতে চলেছে কিনা, বা উপনির্বাচনের লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলকে পিছিয়ে দেয় কিনা সে দিকেই নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!