এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > খুনের মামলায় জোর অস্বস্তিতে মুকুল রায়, জেনে নিন!

খুনের মামলায় জোর অস্বস্তিতে মুকুল রায়, জেনে নিন!

 

অনেকদিন ধরেই লাভপুরের সিপিএম সমর্থক সহ তিন ভাইকে খুনের মামলা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। অভিযোগ ওঠে, এই ঘটনায় নাম রয়েছে বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। তবে নিজের অবস্থানে অনড় থেকে বরাবরই সেই অভিযোগ খন্ডন করতে দেখা গেছে বঙ্গ বিজেপির চাণক্যকে। কিন্তু এবার লাভপুর খুনের মামলায় ফের অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা। সূত্রের খবর, বুধবার লাভপুরের সিপিএম সমর্থক সহ তিন ভাইকে খুনের মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে ডেকে দুবরাজপুর থানায় জেরা করল বীরভূম পুলিশ।

জানা যায়, এদিন বিকেল চারটা থেকে টানা দুই ঘণ্টা জেরা করা হয় বঙ্গ বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতাকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2010 সালে বালিরঘাটের সালিশি সভায় নিজের বাড়িতে ডেকে লাভপুরের বুনিয়াডাঙ্গা গ্রামের সিপিএম সমর্থক সবাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন তৃণমূল নেতা মনিরুল ইসলাম এবং তার দলবলের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে বিজেপির মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। আর এরপরই নিহতের পরিবারের তরফ থেকে হাইকোর্টে এই খুনের ঘটনায় পুনঃ তদন্তের আবেদন জানানো হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে হাইকোর্ট জেলা পুলিশ সুপারের তদারকিতে সেই ঘটনার পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন। যেখানে চার্জশিটে মনিরুল ইসলামের পাশাপাশি খুনে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নাম দেয় বীরভূম পুলিশ। আর এরপরই বোলপুর আদালত সেই মুকুল রায় এবং মনিরুল ইসলামের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তবে প্রথম থেকেই আগাম জামিনের আবেদন করায় তা থেকে রক্ষা পান মুকুল রায়।

কিন্তু হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি পুলিশ এই বিজেপি নেতাকে সহযোগিতা করার কথা বলে, তাহলে তাকে অবশ্যই পুলিশের সাথে সহযোগিতা করতে হবে। আর সেই মতই এদিন দুবরাজপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয় মুকুল রায়কে। আর পুলিশের সাথে কথা বলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হন বঙ্গ বিজেপির চাণক্য।

এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, “এই মামলা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। শাসক দলের নির্দেশে পুলিশ জোর করে আমার নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে। অবশ্য পুলিশের উপায় নেই। তৃণমূলের কেউ কোনো নির্দেশ অমান্য করলে পুলিশ আধিকারিকদের বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। সেই ভয়েই আমার নাম ঢোকানো হচ্ছে। আসলে বাংলায় গণতন্ত্র নেই।” একইভাবে এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “হেনস্থা করার জন্যই নয় বছর আগের ওই মামলায় মুকুল রায়ের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার সঙ্গে ওনার কোনও যোগ নেই। যে পুলিশ প্রথমবার চার্জশিট থেকে মনিরুলের নাম বাদ দিয়েছিল, সেই পুলিশ তার নাম যোগ করল। মনিরুল দলবদল না করলে এটা হত না।”

তাহলে কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন মুকুল রায় এবং মনিরুল ইসলাম! তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়াই কী তাদের কাল হল! আর তার জন্যই কি পরিকল্পনামাফিক এইভাবে পুলিশ তাদের জেরা করছে! এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা পুলিশের বিষয়। আমি এই নিয়ে কিছু বলব না।” তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি যে কথাই বলুন না কেন, মুকুল রায়কে একইভাবে জেরা করার পেছনে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কাজ করছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!