এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নব্য-আদির দ্বন্দ্বে দিশেহারা শাসকদল! দুই প্রভাশালীর অনুগামীদের লড়াইয়ে অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে

নব্য-আদির দ্বন্দ্বে দিশেহারা শাসকদল! দুই প্রভাশালীর অনুগামীদের লড়াইয়ে অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে


বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন এরমধ্যে ফের বর্ধমানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল। গত ফেব্রুয়ারীতে দুর্গাপুরের একটি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানের গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করার কড়া বার্তা দিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদেশকে মান্যতা না দিয়ে বর্ধমানে আবারোও গোষ্ঠী কোন্দল দেখা দিল।

জানা গেছে এই গোষ্ঠী কোন্দল এতটাই তুঙ্গে ওঠে যে একটি দল অন্য দলের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরের গ্রাফাইট ইন্ডিয়া কারখানার সামনে স্লোগান দিতে থাকে। কার্যত এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য শুরু হয়। এমনকি সামাজিক দূরত্ব তো দূরে থাক করোনা সংক্রমনের অন্যান্য বিধি নিষেধও তারা উলঙ্ঘন করে বলে জানা গেছে।

তৃণমূলের এই দুটি দলের মধ্যে বিস্বনাথ পাড়িয়াল ও প্রভাত চট্টোপাধ্যায় উভয়ই শ্রমিক সংগঠনের দুজন নেতা। জানা গেছে এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনরকম অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী শুনতে চান না। কিন্তু আবারোও শ্রমিক সংগঠনের এই দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে দেখা গেল অন্তর্দ্বন্দ্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রাপ্ত সূত্র থেকে জানা যায় বর্ধমান বিভক্ত হওয়ার আগে তৃণমূলের সমগ্র শ্রমিক সংগঠনের দায়ভার ছিল প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের কাঁধের উপর। বর্তমানে তাঁর উপরেই দুর্গাপুরের বেশিরভাগ কল কারখানার শ্রমিক সংগঠনের দেখভাল করার দায়িত্ব রয়েছে। এমনকি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব‌ও এখনোও প্রভাত‌ চট্টোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে।

জানা গেছে বর্ধমান পূর্ব ও পশ্চিমে বিভক্ত হওয়ার পর কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আগত বিস্বনাথ পাড়িয়ালকে পশ্চিম বর্ধমানের শ্রমিক সংগঠনের দায়ভার তুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় ঠান্ডা লড়াই যা ধীরে ধীরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পরিণত হতে শুরু করে। জানা গেছে দুর্গাপুর শিল্প এবং শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক সংগঠনের দায়ভার সামলানো নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে রেষারেষি ক্রমাগতই বাড়তে থাকে। যা দলের শীর্ষ নেতাদের চোখে পড়তেই দলের অন্দরে বিষয়টি নিয়ে জল্পনা ঝড় ওঠে।

দলের রাজ্য স্তরের কর্মীসমর্থকরা এই দুই নেতাকে নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানা গেছে। সূত্রের খবর তৃণমূলের রাজ্য স্তরের নেতাকর্মীদের মতে এই দুজন নেতাকে নিয়ে আলোচনায় বসে এলাকার দায়িত্ব ভাগ করে দিলে কিছুটা হলেও এই সমস্যা হতে পারে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অন্দরে এই গোষ্ঠী কোন্দল রক্তচাপ বৃদ্ধি করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!