নারী নিরাপত্তায় নাকি গদগদ মমতা! তৃণমূলের ভয়ঙ্কর কীর্তির পর্দাফাঁস! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য September 21, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-লোকসভায় মোদী সরকারের পক্ষ থেকে পাশ করা হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। কিন্তু সেই ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি দাবি করেছেন যে, বাংলায় মহিলাদের স্বায়ত্বশাসনের জন্য সবথেকে বেশি যিনি লড়াই করেছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জ্বলন্ত অবদানকে সামনে এনেছেন তিনি। আর সেই বিষয় নিয়েই এবার তৃণমূলের পর্দাফাঁস করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রামপুরহাটের বগটুই থেকে শুরু করে আর হাসখালি, কালিয়াগঞ্জ থেকে শুরু করে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরলেন তিনি। কটাক্ষ করে বুঝিয়ে দিলেন, এটাই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জ্বলন্ত স্বায়ত্ব শাসনের দৃষ্টান্ত। প্রসঙ্গত, এদিন লোকসভায় ঐতিহাসিক মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই বিলের ওপরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেখানেও ক্রেডিট নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা শুরু হয় তৃণমূল সাংসদের পক্ষ থেকে। দলনেত্রীর কথা তুলে ধরে এমন একটা ভাব করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, যেন তার নেত্রী ছাড়া বাংলায় মহিলারা সুরক্ষিত নন। কিন্তু সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের আমলে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে গেলেও, সরকারের নীরব ভূমিকা থাকে। হয়ত বা বক্তব্য রাখার সময় তা ভুলে গিয়েছিলেন এই তৃণমূল সাংসদ। যার কারণে পরবর্তীতে কটাক্ষের আকারে সেই একের পর এক তথ্য তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে নারীদের কি পরিণতি হয়েছে রাজ্যে, তা স্মরণ করিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে রাজ্যে মহিলারা একেবারেই নিরাপদ নন। বারবার তা প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এই সরকারের লজ্জা নেই। যখন মহিলাদের স্বনির্ভর করতে বিল আনছে কেন্দ্রীয় সরকার, তখন সেখানেও ক্রেডিট নিতে গিয়ে চাপের মুখে পড়ে গেলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর এবার বাংলার নারী নির্যাতন নিয়ে শাসক দলের নেতারা কি বলবেন? তবে তাদের মুখ থেকে অন্তত বাংলার ঘটনা নিয়ে নিন্দার কথা শোনা যাবে না। বরঞ্চ তারা এই ঘটনার জন্য বিরোধীদের ঘাড়েই দায় চাপিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যেই বাংলায় মহিলারা মাথা উঁচু করে বেঁচে রয়েছেন বলে বড় বড় দাবি করবেন। যা অত্যন্ত লজ্জার বলেই কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর পার্কস্ট্রীট দিয়ে শুরু হয়েছিল। তারপর কামদুনি থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নাড়া দিয়েছে সকলকে। আর এত বড় ঘটনা ঘটে গেলেও তাকে নিন্দা করা তো দূরের কথা, বরঞ্চ রাজ্যে নারীরা মাথা উঁচু করে বেঁচে রয়েছে বলে দাবি করতে দেখা যায় তৃণমূলকে। সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটেও বাংলায় নিজেদের নেত্রীকে বড় করে দেখাতে সেই কাজটাই করলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মত সাংসদ। তবে শুভেন্দু অধিকারীও জানেন, কিভাবে তাকে জবাব দিতে হয়। তাই তিনিও সাথে সাথে পাল্টা একের পর এক তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূলকে নিজের জালেই ফাঁসিয়ে দিলেন। যার ফলে রীতিমতো বড়াই করে প্রশংসা কুড়োতে গিয়ে নিন্দার মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূলকে। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের। আপনার মতামত জানান -