এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে চরম লজ্জায় রাজ্য! এটাই কি মমতার এগিয়ে বাংলা?

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে চরম লজ্জায় রাজ্য! এটাই কি মমতার এগিয়ে বাংলা?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কেন্দ্রীয় সরকার বছরে একাধিকবার অতিরিক্ত মহার্ঘ ভাতা প্রদান করছে। আর তার সাথে তাল মিলিয়ে প্রত্যেকটি রাজ্য সরকার সেই একই পথে হাঁটছে। একমাত্র ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গ। এখনও পর্যন্ত বকেয়া মহার্ঘ ভাতার সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বাংলার সরকারের কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে বসে রয়েছেন আন্দোলন কারীরা। কিন্তু তবুও সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো বার্তা নেই। যা দেখে রীতিমতো লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের। যেখানে অন্য রাজ্য পারছে, সেখানে এগিয়ে বাংলার কথা বলেও কেন সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, এদিন শহীদ মিনারে ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে নিজের বর্ধিত বেতনের অংশ সেই আন্দোলনকারীদের দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী রীতিমতো তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বছরে দুই থেকে তিনবার ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করে বলে দাবি করেন। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকটি রাজ্য সরকার সেই পথে হাঁটলেও, কেন পশ্চিমবঙ্গ উদাসীন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে এই প্রশ্নের উত্তর যে শাসকদলের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে না, তারা যে একইভাবে সরকারি কর্মচারীদের অপমান এবং অবহেলা করবে, তাতে নিশ্চিত সমালোচক মহল। অনেকে বলছেন, কথায় কথায় তো কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের তুলনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের দাবির বিষয় যখন সামনে আসছে, তখন কেন কেন্দ্রের থেকে পিছিয়ে এই রাজ্য? কেনই বা দেশের অন্যান্য রাজ্যের থেকে শেষের সারিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ? এই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এগিয়ে বাংলার নমুনা?

বিরোধীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন স্পেনে ঘুরতে ব্যস্ত। কাজেই তাকে এই সমস্ত কথা বলে এখন বিরক্ত করা কার্যত অনুচিত। তিনি এখন রাজ্যকে বিপাকে ফেলে ছুটি কাটানোর মুডে রয়েছেন। শিল্প আনার কথা বলে বিদেশে গিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু কত শিল্প বাংলায় আসবে, সে তো ভবিষ্যৎ বলবে। তবে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথায় কথায় কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের তুলনা করেন, তার অন্তত এই বিষয়ে লজ্জা হওয়া উচিত। সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে কাজটা করিয়ে নিচ্ছেন, অথচ সেই কর্মচারীদের বকেয়া দাবিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন না। প্রতিমুহূর্তে তাদের দাবিকে অপমান করতে ব্যস্ত তৃণমূল সরকার বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সরকারি কর্মচারীরা যখন এই ডিএর কথা বলছেন, তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন “ঘেউ ঘেউ করবেন না”। অর্থাৎ কোনো পশুর সঙ্গে তিনি সরকারি কর্মচারীদের তুলনা করতেও বাকি রাখছেন না। আর এর ফলেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, সরকারের বিন্দুমাত্র সহমর্মিতা এই সমস্ত কর্মচারীদের প্রতি নেই। কিন্তু যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ নাকি গোটা দেশের মধ্যে উন্নয়নের নিরিখে শ্রেষ্ঠ, এই কি তার উন্নয়নের নমুনা? যেখানে সরকারি কর্মচারীরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন, অথচ তাদের দিকে তাকানোর মত সময় নেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের!

একাংশের মতে, অন্য রাজ্যকে দেখে শিক্ষা নেওয়ার মতো ক্ষমতাটুকুও নেই নবান্নের। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, বিরোধী দলনেতাকে সেই সমস্ত আন্দোলনকারীদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে। গোটা দেশের কাছে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের। তবে এরপরেও কি শাসক দল এবং তাদের প্রধান সেই লজ্জা ঢাকতে সরকারি কর্মচারীদের পাশে দাঁড়াবেন? নাকি যেমন ভাবে চলছে, তেমন ভাবেই চলবে! প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!