এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দিল্লিতে আন্দোলনের নামে অশান্তির ছক তৃনমূলের? চরম বিড়ম্বনায় মমতা-অভিষেক!

দিল্লিতে আন্দোলনের নামে অশান্তির ছক তৃনমূলের? চরম বিড়ম্বনায় মমতা-অভিষেক!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-একশো দিনের কাজ আবার যোজনা সহ একাধিক বিষয় দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে তার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তবে এসবের তৃণমূল অবশ্য বড় বড় গলায় দাবি করছে যে, তারা দিল্লিতে যাবেই। তবে দিল্লি আর যাই হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের মত নয়। বিরোধীদের কর্মসূচি করতে দেবে না, এমন স্বভাব তাদের নেই। কিন্তু অশান্তি করতে গেলে তাকে আটকানোর জন্য যে প্রশাসন বদ্ধ পরিকর, তার বারবার প্রমাণ মিলেছে। আর এবার সেই বিষয় নিয়েই ভয়ংকর ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার মন্তব্যের পর একটাই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দিল্লিতে বঞ্চনার যে অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল আন্দোলন সংগঠিত করতে চাইছে, সেখানে অশান্তির পরিকল্পনা রয়েছে?

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ভয়ংকর ইঙ্গিত দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, “দিল্লিতে যান না। কে যেতে মানা করেছে? আপনারা যেতেই পারেন। কিন্তু প্ল্যাকার্ড নিয়ে আন্দোলন করতে দেওয়া হবে না। দিল্লির রাস্তা খোলা, সংসদ ভবন খোলা। আপনারা যেতেই পারেন। কিন্তু অশান্তি করতে দেবে না দিল্লি পুলিশ।” আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজনৈতিক আন্দোলন করার নামে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনো অশান্তি তৈরি করা হতে পারে দিল্লির মাটিতে?সেই কারণেই কি দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না?

অনেকে বলছেন, ইটের জবাব কি করে পাটকেলে খেতে হয়, তা এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিক তৃনমূল কংগ্রেস। বাংলায় প্রশাসনকে নিজের মতো করে ব্যবহার করে প্রতিমুহূর্তে বিরোধীদের কর্মসূচি করতে বাধা দেওয়া হয়। এবার দিল্লিতে তারা যখন কর্মসূচির অনুমতি পাচ্ছে না, তখন তাদের কেমন লাগছে? এখন তারা যতই প্রতিহিংসার কথা বলুক না কেন, বাংলায় আগে নিজেদের পুলিশকে ঠিক করুক, তারপরে দিল্লীর পুলিশ নিয়ে কথা বলবে।

একাংশ বলছেন, দিল্লির মাটিতে এই আন্দোলন সংগঠিত করার মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের রাজনৈতিক বিস্তারের বিষয়টি দেখাতে চাইবে‌। তারা বলতে চাইবে যে, দিল্লিতেও তারা মোদী সরকারের সিংহাসন কাঁপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলকে সেই সুযোগ দেবে না প্রশাসন। আন্দোলনের নামে দিল্লির পরিস্থিতিকে অশান্ত করার চেষ্টা হয়তো তারা ধরে ফেলেছে। সেই কারণেই তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর সেই বিষয়টি আরও জোরালো হয়ে উঠছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনার বকেয়া টাকা নিয়ে তৃণমূল বঞ্চনার অভিযোগ করছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন যে, হিসাব দিতে হবে। তা না হলে তাদের অর্থ দেওয়া হবে না। কারণ বাংলায় এই সমস্ত প্রকল্পের অর্থ নিয়ে ব্যাপক নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল আন্দোলন করুক বা না করুক, তাতে যে কেন্দ্রের কিছু এসে যায় না, তা স্পষ্ট। যে রাজনৈতিক দল বাংলায় বিরোধীদের বিন্দুমাত্র সুযোগ দেয় না কর্মসূচি করতে, তারা দিল্লির মাটিতে কর্মসূচি করার স্বপ্ন দেখছে। যার জেরে এখন তৃণমূলের কাছে দিল্লির কর্মসূচি পালন করাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আর এতেই গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী শাসক দলকে আরও গাড্ডায় ফেলে দিলেন। একেই তো কর্মসূচির জন্য অনুমতি পাচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যে তাদের এই কর্মসূচি করার নামে অশান্তির পরিকল্পনা রয়েছে বলে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রচন্ড বিড়ম্বনার কারণ। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!