এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকারের এক্সপায়ারি ডেট চলে এসেছে – জল্পনা বাড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকারের এক্সপায়ারি ডেট চলে এসেছে – জল্পনা বাড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

রাজনৈতিক মঞ্চে দুই যুযুধান শিবির বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস। একটা সময় ভোটে দাঁড়িয়ে বাংলার বুকে বিজেপির জামানত জব্দ হয়েছিল। কিন্তু কালক্রমে বিজেপি নিজেদের সাংগঠনিক জোরের ভিত্তিতে 2019 সালের লোকসভা ভোটে একটা উল্লেখযোগ্য জায়গায় নিয়ে যায় নিজেদের। পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা ভোটে বিজেপি তৃণমূলকে রীতিমত কোণঠাসা করে দেয়। আর এবার 202 এর বিধানসভা ভোটকে লক্ষ্য রেখে একের পর এক দলীয় কর্মসূচি গ্রহণ করছে পদ্ম শিবির।

আর সেই কর্মসূচির একটি অংশ বর্তমানে রাজ্য জুড়ে চলছে। বিজেপির পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে, গান্ধী সংকল্প যাত্রা। এই সংকল্প যাত্রাকে হাতিয়ার করেই বিজেপি তাদের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ‍্য জুড়ে। বিজেপির সংকল্প যাত্রায় বেরিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাকে আক্রমন করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আসানসোলের দুবারের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এদিন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এক্সপায়ারি ডেট চলে এসেছে। 2019 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অর্ধেক শেষ হয়েছে, 2021 সালে পুরোপুরি সাফ হয়ে যাবে। রাজ্যের মানুষ আমাদের পাশেই আছে।’ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এদিন সংকল্প যাত্রায় বেরিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। গান্ধীজীর অহিংসা বার্তাকে পাথেয় করে মঙ্গলবার রানিগঞ্জে সংকল্প যাত্রায় বেরোন বাবুল সুপ্রিয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির এই কর্মসূচি শুরু হয় রানীগঞ্জ পাঞ্জাবী মোড় থেকে এবং শেষ হয় স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। সংকল্প যাত্রার মিছিল থেকেই পশ্চিমবঙ্গে নতুন শাসকের আহ্বান করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে গান্ধীজি অহিংসার পথে গিয়ে ভারতবর্ষকে ব্রিটিশ মুক্ত করেছিলেন, ঠিক সেভাবেই একই পথে চলে পশ্চিমবঙ্গ এবার দুর্নীতিমুক্ত হবে। বাবুল সুপ্রিয়র সাথেই এদিন সংকল্প যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘরুই সহ রানীগঞ্জের বিজেপি নেতা কর্মীরা। এমনকি বাবুল সুপ্রিয়র বড় কন্যা শর্মিলীও এদিন তাঁর সাথ দেন।

সংকল্প যাত্রা শেষে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, লোকসভা ভোট পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। তাই অহিংস ও পরিশীলিত সরকারের প্রয়োজন এবার এরাজ্যে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতিমুক্ত সরকারেরও দরকার। অন্যদিকে, রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের সংঘাতকে তিনি ‘নির্লজ্জ’ বলে কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি, কালিম্পংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আক্রমণের ঘটনায় রীতিমতো নিন্দায় ফেটে পড়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।

প্রসঙ্গত, বিজেপির তরফ থেকে এই সংকল্প যাত্রা শুরু হয়েছে একটি উদ্দেশ্য নিয়ে – বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি নেতাদের মতে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে মহাত্মা গান্ধীর চিন্তা ভাবনার মিল সকলের সামনে তুলে ধরা। স্বচ্ছতা, দুর্নীতি এবং গ্রামীণ সমাজের উন্নয়ন নিয়ে গান্ধীজী যা যা বলেছিলেন ঠিক একই কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেও দাবি তাঁদের। আর কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাথে গান্ধীজির ভাবনাচিন্তার যে বহু মিল রয়েছে তা জনমাধ্যমে পেশ করাই পদ্ম শিবিরের লক্ষ্য এই সংকল্প যাত্রার মধ্য দিয়ে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছে।

এদিকে বাবুল সুপ্রিয়র বক্তব্যকে ঘিরে এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের তরফ থেকে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায় নি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির উত্থান দেখে তৃণমূল তড়িঘড়ি ভোট বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন কিশোরকে নিয়োগ করে। আর প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত দিদিকে বলো ও এনআরসি বিরোধী তীব্র আক্রমন – তৃণমূলের পায়ের তলায় জমি ক্রমশ শক্ত করছিল। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় নিজেদের সংগঠন আরও বাড়িয়ে নিতে বিজেপি গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও সঙ্কল্প যাত্রা শুরু করেছে। কিন্তু, তার সুফল কতটা মিলবে – তা জানার জন্য আগাম নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!