এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > বড়সড় ধাক্কা তৃণমূলের! গেরুয়া শিবির ছিনিয়ে নিল আরও এক পুরসভা – জানুন বিস্তারিত

বড়সড় ধাক্কা তৃণমূলের! গেরুয়া শিবির ছিনিয়ে নিল আরও এক পুরসভা – জানুন বিস্তারিত


2019 এর লোকসভা ভোটের পর থেকে দলবদলের প্রবণতা অনেক বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এই দলবদল এর হাওয়াতেই বিজেপির দিকেই সবার ঝোঁক বাড়ে। লোকসভা ভোটের পর রাজ্যের শাসক দল থেকে বহু নেতাকর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে তৃণমূল ৪২-এ-৪২ দাবি করলেও, বিজেপির কাছে বড়সড় ধাক্কা খায়। পশ্চিমবঙ্গের 42 টি আসনের মধ্যে তাঁরা অধিকার করেছিলেন মোটে 22 টি আসন। অন্যদিকে, বিজেপি শুধুমাত্র সংগঠনের ভিত্তিতে তাদের আসন সংখ্যা 2 থেকে বাড়িয়ে 18 করেছে।

ফলে লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিভিন্ন দল থেকে, বিশেষত শাসক শিবির থেকে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রবনতা বাড়ে। আর এরফলে বহু পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে যেতে শুরু করেছে। আর সেভাবেই এবার রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর পুরসভা বিজেপির দখলে এলো। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই শাসকদলের বহু সদস্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ফলে বিজেপি অনেক পঞ্চায়েত ও পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ স্থানে চলে যায়।

আবার বেশ কিছু দিনের মধ্যেই ঘরওয়াপসির ফলে বিজেপি থেকে বহু সদস্য আবার শাসক দলে ফিরতে শুরু করে। ফলে বিজেপি এক লহমায় সংখ্যাগরিষ্ঠ থেকে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর সম্পূর্ণ অন্যরকম দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর পুরসভা দখল করা নিয়ে ইতিমধ্যেই, আগে থেকে বিজেপি নানান রূপরেখা তৈরি করেছিল। এদিন রামজীবনপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করায় এই পুরসভাটি শাসক শিবিরের হাতছাড়া হয়ে যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির পক্ষ থেকে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রশাসন আস্থা ভোট না করানোয় বিজেপি কাউন্সিলররা পুরসভা দখল করে নেন। বিজেপির পক্ষ থেকে রামজীবনপুর পুরসভায় 6 জন কাউন্সিলর হাজির হন এবং চেয়ারম্যান এর স্থান দখল করেন। বিজেপির কাউন্সিলর এদিন রামজীবনপুর পুরসভার চেয়ারম্যান হন। শাসকদলের পক্ষ থেকে কোন কাউন্সিলর এদিন উপস্থিত ছিলেন না। ফলে বোর্ডের দখল সম্পূর্ণরূপে বিজেপির হাতে চলে যায়। যদিও এই ঘটনাটিকে রামজীবনপুরের মহকুমা শাসক অবৈধ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।

এদিন শিবরাম দাস নামক এক তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে রামজীবনপুর পুরসভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায়। রামজীবনপুরে এগারোটা ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল এই পুরসভার ছটি ওয়ার্ড। আর পাঁচটি ছিল বিজেপির দখলে। তৃণমূল কাউন্সিলর পদ্ম শিবিরে যোগদানের ফলে ঠিক বিপরীত ভাবে বিজেপির দখলে চলে যায় 6 টি আসন ও তৃণমূলের দখলে থাকে পাঁচটি। সুতরাং খুব স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি রামজীবনপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ দখল করে। উল্লেখ্য, শিবরাম দাস রামজীবনপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন।

লোকসভা নির্বাচনের পরেই যেভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক লেগেছিল, তাতে গোটা রাজ্যজুড়েই গেল গেল রব উঠেছিল। এরপর, ভোট বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরের মস্তিস্ক প্রসূত দিদিকে বলো ও এনআরসি বিরোধী তীব্র প্রচারে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে তৃণমূল। এমনকি ‘ঘর ওয়াপসি; করিয়ে বহু জায়গায় বিজেপির দখল করা পুরসভা বা পঞ্চায়েত আবার নিজেদের দখলে নিয়ে আসে। আর এরফলে যেন গেরুয়া শিবিরের পালে ভাটার টান পড়েছিল। এখন দেখার রামজীবনপুর পুরসভা দখল করে সেই ভাটা বিজেপি কাটিয়ে ওঠে, নাকি তৃণমূল আবার ঘর ওয়াপসি করে কামাল দেখায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!