এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার লোকসভা-বিধানসভা থেকে 70 বছরের পুরোনো প্রথা তুলে দিতে চাইছেন মোদী-শাহ!

এবার লোকসভা-বিধানসভা থেকে 70 বছরের পুরোনো প্রথা তুলে দিতে চাইছেন মোদী-শাহ!


পূর্ববর্তী সময়েও অনেকগুলো সংবিধান সংশোধনী বিল আনতে দেখা গেছে কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারকে। এর মধ্যে অধিকাংশ বিল নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে আপত্তি লক্ষ্য করা গিয়েছে। আর এবার প্রায় স্বাধীনতা পরবর্তীতে ভারতবর্ষের স্বাধীন সংসদীয় ব্যবস্থা শুরু হওয়ার সময় থেকে অবস্থিত অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের জন্য সংরক্ষিত আসন লোকসভা থেকে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর পথে হাঁটতে দেখা গেল ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারকে।

যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনো স্পষ্ট অবস্থান নিতে দেখা দেওয়া হয়নি কেন্দ্র সরকার থেকে। তবুও অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের সংরক্ষণ তুলে দেওয়া প্রসঙ্গের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে লিখিতভাবে চিঠি করে তার হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ হিবি ইডেন। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া সেই চিঠিতে কংগ্রেস সাংসদ উল্লেখ করেছেন, “অ্যাংলো ইন্ডিয়ানরা শুধুমাত্র ভারতের বৈচিত্র্যময় সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নয়, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখানে আরও লেখা, “বর্তমানে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির প্রস্তাব দেওয়া উচিত। সেই জায়গায় যদি তাদেরকে সংরক্ষণের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে সেটা তাদের সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন হবে।” শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে তাদের সুরক্ষা ও অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সাংসদ হিবি ইডেন। তবে এদিন এই বিষয়ে বিরোধীদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পড়ে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিন তিনি বলেন, “আমরা বলতে চাই যে আমরা এই নিয়ে আলোচনা বন্ধ করিনি। সুতরাং এই বিষয়টি এখন আপাতভাবে উত্থাপন করা ঠিক হবে না।” সূত্রের খবর, অল ইন্ডিয়া অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন চিফ ব্যারি ও ব্রায়েন ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি করে গোটা বিষয়ে তার হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “সংবিধান সংশোধন করার এই কঠোর পদক্ষেপ কেন গ্রহণ করা হচ্ছে, তা আমরা সত্যি বুঝতে পারছি না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের সম্প্রদায়ের একজন নেতার সঙ্গেও কথা বলা হয়নি।”

শুধু তাই নয়, গোটা বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো সংযত যুক্তি উপস্থাপন করা হয়নি বলে অভিযোগ করতে শোনা যায় ব্যারি ও ব্রায়েনকে। সব কিছু মিলিয়ে রাজনৈতিক মহলের মধ্যে উপস্থিত হয়েছে হঠাৎ করেই 70 বছর পুরনো অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের এই সাংবিধানিক অধিকার কেন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার! এখন গোটা বিষয়ের উপরে সরকারের বিজ্ঞপ্তির দিকে এবং ব্যাখ্যার দিকেই তাকিয়ে থাকবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!