হাসপাতালেই হেলিপ্যাড! চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অত্যাধুনিক করতে নজিরবিহীন পদক্ষেপের পথে রাজ্য কলকাতা রাজ্য November 25, 2018 রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অত্যাধুনিক করতে ১১ তলা ট্রমা সেন্টার বানানোর পরিকল্পনা শতাব্দী প্রাচীন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের। পাশাপাশি ছাদে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামানোর জন্যে হেলিপ্যাডের ব্যবস্থাও করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যভবনের পরিদর্শকদল প্রস্তাবিত জায়গাগুলো দেখে গিয়েছেন। ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরির দায়িত্বে রয়েছে পূর্ত দপ্তর। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক সূত্রে এমনটাই জানা গেল। এই পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন হলে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে এটাই হবে রাজ্যের প্রথম হেলিপ্যাড, এমনটাই দাবী মেডিক্যালের। তবে এর আগেও একাধিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তাদের প্রস্তাবিত ট্রমা সেন্টারে হেলিপ্যাড গড়ার পরিকল্পনা নিলেও পরে তা বাতিল হয়ে যায়। এবারও মেডিক্যালের ক্ষেত্রে সেটা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন এসেই যাচ্ছে। সেটা হবে না বলেই জোর গলায় দাবী করলেন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি’র চেয়ারম্যান ডাঃ নির্মল মাজি। অন্যদিকে মেডিক্যালের সুপার ডাঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, ট্রমা সেন্টার গড়ার প্রস্তাবটি পাশ হয়ে গিয়েছে। হেলিপ্যাড গড়ার উল্লেখও রয়েছে তাতে। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যে এটিকে একটি ‘সুখবর’ বলেই ব্যাখ্যা করলেন তিনি। মেডিক্যাল সূত্রের খবর, এখন যেখানে মেডিক্যালের এজরা ও চেস্ট বাড়ি রয়েছে, সেখানেই ট্রমা সেন্টার হওয়ার কথা। এই এজরা ও চেস্ট বাড়িতেই বর্তমানে ইএনটি, চেস্ট, সাইকিয়াট্রি প্রভৃতি বিভাগ রয়েছে। এগুলোকেই পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে নার্সিং হোম স্কুলের প্রস্তাবিত সাততলা বিল্ডিং-এ। সেখানে দুই তলা নার্সিং-এর জন্যে রেখে বাকি তলাগুলোতে এই বিভাগগুলির কাজ চলবে। এই মেডিক্যাল ট্রমা সেন্টারের এক তলায় থাকবে কার পার্কিং, এর উপরের তলা থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ড, আইসিইউ, একাধিক অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড বা এইচডিইউ প্রভৃতি রাখা হবে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে পথ দুর্ঘটনা বা অন্যান্য বিপর্যয়ে জখমদের অধিকাংশের ‘পলিট্রমা’ বা শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগে থাকে। সেদিকে গুরুত্ব দিয়েই নিউরোলজি, নিউরোসার্জারি, কার্ডিওলজি ও সিটিভিএস, অর্থোপেডিক, জেনারেল সার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি, ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি প্রভৃতি বিভাগের চিকিৎসকদের ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের সময় থাকা খুবই জরুরি। দরকার জরুরি অপারেশনের জন্য অত্যাধুনিক ওটি। সেসবও রাখা হবে – এমনটাই জানা গিয়েছে মেডিক্যাল সূত্রে। রাজ্যে বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আরজিকর মেডিক্যালেই অত্যাধুনিক ট্রমা সেন্টার রয়েছে। পিজিতে জোরকদমে কাজ চলছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই প্রস্তাবিত ট্রমা সেন্টারটি চালু হয়ে যাবে বলেই সম্ভাবনা। তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধাগুলো কী কী তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে অনেকেরই মনে। চিকিৎসকমহলের মতে, এর ফলে বড়সড় পথ দুর্ঘটনা, জঙ্গি হামলা বা যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ-বিপর্যয় হলে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই রাজ্যের যে কোনো প্রান্ত থেকেই রোগীকে কলকাতায় বা মেডিক্যালে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। রাস্তার যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে – সাধারণ রোগী ছাড়াও, রাজ্যে সফরকালে ভিআইপি বা ভিভিআইপিদের বড় বিপদ-আপদ হলেও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে দ্রুত মেডিক্যালে বা শহরে এনে তাঁর ট্রমা কেয়ার ম্যানেজমেন্ট শুরু করে দেওয়া সম্ভব হবে। যেহেতু মেডিক্যাল শহরের মধ্যমনিতে অবস্থিত তাই সেখান থেকে এনআরএস বা অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে রোগীদের দ্রুত নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হবে। তবে সাধারণ মানুষের পরিষেবায় এই এই ব্যবস্থা কতটা কাজে আসে এখন সেটাই দেখার! লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্যবাসীর মন কাড়তে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অত্যাধুনিক করে মাস্টারস্ট্রোক দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। আপনার মতামত জানান -