NIOS নিয়ে রাজ্যের শিক্ষককুলকে আশার আলো দেখিয়ে কাল ফের মামলা উঠছে হাইকোর্টে, সৌজন্যে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ কলকাতা জাতীয় রাজ্য January 31, 2019 রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের এক বৃহদংশের অভিযোগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং বা NIOS কর্তৃপক্ষের অমানবিক ও অনৈতিক সিদ্ধান্তে, বর্তমানে রাজ্যের ১ লক্ষ ৬৯ হাজার প্রাথমিক, এস.এস.কে, এম.এস.কে ও বেসরকারী চাকুরীরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জীবন-জীবিকা আজ বিপন্ন। প্রসঙ্গত, গত ২০ ও ২১ শে ডিসেম্বর D.EL.ED পরীক্ষার ৫০৬ ও ৫০৭ পেপারের পরীক্ষা ২ টি প্রশ্নফাঁসের কারণে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য বাতিল ঘোষণা করা হয়। আর এখানেই রাজ্যের শিক্ষকমহলের প্রশ্ন ছিল যে, সর্বভারতীয় পরীক্ষা হওয়া সত্বেও অন্য রাজ্যে তা বাতিল না করে কেবলমাত্র বাংলাতে তা বাতিল হল কেন? এই ঘোষণা তো আখেরে বাংলার শিক্ষকদের চূড়ান্তরূপে অপমান করা। কেননা, আজকের ‘টেকস্যাভি’ যুগে যে কোন তথ্য বিশ্বের এক কোনা থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছে যেতে সময় লাগে মাত্র কয়েক মুহূর্ত। তাছাড়া, এই প্রশ্নফাঁস তো আর বাংলার শিক্ষকরা করেননি! তাহলে, প্রশ্নফাঁসের উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি প্রশ্নফাঁস যখন হয়েছে মেনেই নিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ তখন পরীক্ষা বাতিল করলে তা সার্ভারতীয় স্তরেই করতে হবে। এই প্রসঙ্গে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক ও প্রতিবাদী শিক্ষক মইদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কেন্দ্র সরকারের তুঘলকী ও অমানবিক সিদ্ধান্তের ফলে বাংলার ১.৬৯ লক্ষ শিক্ষকদের জীবন জীবিকা বিপন্ন। তাই আমরা শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ শিক্ষক স্বার্থে রাস্তার লড়াই এর সাথে আইনী লড়াইও চালিয়েছি৷ [content_block id=3910 গত ২১ তারিখ শিক্ষামন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিয়েছি৷ গত ২৫ তারিখ হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ পাওয়া যায়নি আর তাই নিয়েই শিক্ষককুল বড় চিন্তায় ছিলেন। সাথেই একই দিনে আগামি ৩ রা ফেব্রুয়ারী দুরবর্তী কেন্দ্রে কিভাবে ৬ ঘন্টা পরীক্ষা হবে সেই চিন্তা করেও ইতিমধ্যে ২ জন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ফলে চিন্তা আরো বেড়েছিল আমাদেরও। কিন্তু গতকাল আমরা আশার এল দেখতে পাই। গতকাল সন্ধ্যাতে শিক্ষাসচিব মারফত মঞ্চের কাছে চিঠি আসে তাতে দেখা যায় রাজ্য সরকার আমাদের নায্য দাবীকে মান্যতা দিয়ে NIOS কে চিঠি করেছে পরীক্ষা বাতিলের জন্য৷ বামপরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্ত্তী মহাশয়ও শিক্ষক স্বার্থে লাগাতার শিক্ষামন্ত্রীর সাথে যোগায়োগ করেছেন। আর এই নিয়েই আজ মঞ্চের পক্ষ থেকে আমি(মইদুল ইসলাম), সুজিত দাস, অনিরুদ্ধ সাহা, বিশ্বজিত সরদার, রতন নে, শাশ্বত ঘোষ, অমলেন্দু বেরা, চৈতালী ঘোষ, সীমা মোহান্থি, মুন্না ব্যানার্জী, পারমিতা বড়ুয়াসহ বিকাশভবনে প্রধান সচিব ,শিক্ষাদপ্তরের সাথে দেখা করি। পরে বিধানসভাতে বাম পরিষদীয় দলনেতার সুজন চক্রবর্ত্তীর সাথে দেখা করি৷ পরে আইনজীবীর তৎপরতায় আজ বিকাল ৪.৪৫ মিনিটে বিচারপতি সমাপ্তি চ্যাটার্জীর এজলাসে আবার মামলাটি মেনশন করেছি৷ রাজ্য সরকারের আইনজীবী আজ সহযোগিতা করেন ফলে বিচারপতি মেনশন গ্রহন করেন ৷ এবং আগামিকাল মামলাটি আবার বিচারপতির এজলাসে মামলাটি উঠবে। আমরা আশাবাদী যে এই নিয়ে আগামিকাল আমরা জয় পাবই। আর তার ফলে ১.৬৯ লক্ষ শিক্ষকদের জীবন জীবিকা বিপন্নের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। পাশাপাশি মইদুলবাবু ও জানান যে, রাজ্যের যে কোন প্রান্তে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার অধিকার ফিরিয়ে দিতে ও বঞ্চিত শিক্ষকদের লড়াইয়ে পাশে দাঁড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। আপনার মতামত জানান -