NIOS-এর প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে আজ বড়সড় পদক্ষেপ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের – জানুন বিস্তারিত কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য January 3, 2019 পশ্চিমবঙ্গে নবনিযুক্ত ও অবশিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য ন্যাশনাল ইন্সটিউট অফ ওপেন স্কুলিং-এর (এনআইওএস) যে প্রশিক্ষণের পরীক্ষা (ডিএলএড) হয়েছিল – সেই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায় শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য। সর্বভারতীয় পরীক্ষা হলেও – শুধুমাত্র বাংলার ক্ষেত্রে এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চূড়ান্তরূপে ক্ষুব্ধ বঙ্গের শিক্ষক সমাজ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের পক্ষে – ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২৮ শে ডিসেম্বর, বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি, এনআইওএসের কলকাতার রিজিওনাল অফিসে গিয়ে সংস্থার ডিরেক্টর রচনা ভাটিয়ার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, শুধু এতেই থেমে থাকতে চায় নি শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। সংগঠনের শীর্ষনেতা তথা প্রতিবাদী শিক্ষক মইদুল ইসলাম সেদিনই জানিয়েছিলেন, ৩ রা জানুয়ারি অর্থাৎ আজ, শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের তরফে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা আদালতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেইমত আজ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের সাথে গিয়ে এই মামলার প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই প্রসঙ্গে মইদুলবাবু জানান, এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় শুধুমাত্র বাংলার শিক্ষকদের সঙ্গে যা করা হচ্ছে তা চরমতম অন্যায়। এটা বাংলার শিক্ষক সমাজের কাছে চূড়ান্ত অপমানকর। আমার কাছে পঞ্চাশোর্ধ বহু শিক্ষকের ফোন এসেছে – যাঁদের বক্তব্য, এইভাবে তো তাঁদের একপ্রকার হেনাস্থা করা হচ্ছে। আর তাই, আগে দেওয়া কথা মত, এই ব্যাপারে রাস্তায় নেমে আন্দোলন ও আইনি ব্যবস্থা নিতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। আমরা আজ এই মামলার প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করলাম – শীঘ্রই শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফে এই নিয়ে মামলা করা হবে। এই প্রসঙ্গে এই মামলায় শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, এনআইওএস-এর ৫০৬ ও ৫০৭ বাতিল হয়ে গেছে। কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে – এটি সর্বভারতীয় পরীক্ষা হলেও, শুধুমাত্র বাংলার শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতীতে, ২০১৩-১৪ সালে দিল্লি থেকে সিজিএল-এর প্রশ্নপত্র ফাঁসে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পুরো পরীক্ষা বাতিল করা হয় এবং তা সমগ্ৰ দেশের ক্ষেত্রে বলবৎ করা হয়। তাই, এই নিয়ে বাংলার শিক্ষকদের স্বার্থে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি, বাংলার শিক্ষকরা আদালতের সুবিচার পাবেন। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কলকাতা আদালতের বিচারপতিদের ঘর বদল হচ্ছে – তাই টেকনিক্যাল কারণে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ এই মামলা আজ করতে পারল না। কিন্তু, আগামী সোমবার বা মঙ্গলবার এই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হতে চলেছে। এই মামলায়, মইদুলবাবুদের মূলত দুটি দাবি থাকতে চলেছে – এক, শুধুমাত্র বাংলার জন্য নয়, পরীক্ষা বাতিল করতে হলে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় হওয়ায় সারা ভারতের জন্যই তা বাতিল করতে হবে। দুই, প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত করাতে হবে। সবমিলিয়ে বাংলার শিক্ষকদের ‘বঞ্চনা ও অপমানের’ প্রতিবাদে ক্রমশ সুর ছড়াচ্ছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। আপনার মতামত জানান -