পাশে নেই কেউ, জল্পনা তীব্র হচ্ছে অধীর চৌধুরীকে নিয়ে বিশেষ খবর রাজ্য January 17, 2018 রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সংগঠনে ‘অস্থিরতা’ তৈরি করতে অহেতুক পরিবর্তন করবেন না। আর সেই সূত্রেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। দিল্লি থেকে যেদিন লিখিত সেই বার্তা কলকাতায় এসে পৌঁছায় সেদিন রীতিমত রাজ্য কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনে কংগ্রেস কর্মীরা বাজি পুড়িয়ে উৎসবে মেতেছিল। কিন্তু গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে থেকে যাওয়ার জন্য বিধান ভবনে অধীর চৌধুরীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। আর সেখানে মালদহের সাংসদ মৌসম বেনজির নূর ছাড়া আর কোনো শীর্ষ নেতাকেই দেখা যায় নি। যা নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনিতেই গুঞ্জন ছিল, অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ পেতে মরিয়া ছিলেন এবার অনেকেই। কিন্তু সেই গুঞ্জন জল্পনার স্তরেই থেকে যায়, রাহুল গান্ধী শেষ পর্যন্ত ভরসা রাখেন অধীর বাবুর উপরেই। কিন্তু সেই অধীরবাবুর সংবর্ধনার দিনেই আশ্চর্যরকমভাবে হঠাৎ করে কলকাতার বাইরে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, লোকসভার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী, অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়, অন্যতম শীর্ষনেতা সোমেন মিত্র বা দীপা দাশমুন্সি। যদিও সোমেনবাবু পরবর্তীকালে জানিয়েছেন, অধীর যেতে বলেছিল, কিন্তু আমি তো কলকাতার বাইরে ছিলাম। কয়েক দিন আগে প্রদীপদার সঙ্গে কথা হচ্ছিল, বলেছিলেন উনি বাংলাদেশে থাকবেন। আর দীপাও দিল্লিতে রয়েছেন বলে জানি। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলীয় কর্মসূচিতে আব্দুল মান্নান জলপাইগুড়িতে ছিলেন। কিন্তু, প্রদেশ সভাপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সমস্ত শীর্ষনেতার একযোগে কলকাতার বাইরে কাজ থাকায় গুঞ্জন ক্রমশ বাড়ছে। প্রশ্ন উঠছে, অধীরবাবু কি ক্রমশ নিঃসঙ্গ হচ্ছেন? কি হতে চলেছে তাঁর পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ? আপাতত এই উত্তর খুঁজতেই ব্যস্ত রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -