এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়ে হাইকোর্টে বিস্ফোরক মামলা দিলীপ ঘোষের

করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়ে হাইকোর্টে বিস্ফোরক মামলা দিলীপ ঘোষের

করোনার আবহে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। বিশ্ববাসী রাতের ঘুমে কার্যত কেড়ে নিয়েছে অজানা এই ভাইরাস। বৈজ্ঞানিকদের শত চেষ্টাতেও এই ভাইরাসের টিকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি, তাই লকডাউন করেই এই ভাইরাসকে প্রতিহত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভারতেও এক মাসের ওপর হয়ে গেল লকডাউন চলছে। করোনা তথা লকডাউনের জন্য অফিস কাছারি, দোকানপাট সমস্ত কিছুই বন্ধ থাকার ফলে মানুষকে ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও বাংলার রাজনীতি স্বমহিমায় প্রতীয়মান!

করোনার প্রকোপ যখন প্রথম বাংলায় আসে – তখন সকল রাজনৈতিক দলকেই রাজনীতি ভুলে এক ছাতার তলায় আসতে দেখা গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই জানিয়েছিলেন – এই কঠিন পরিস্থিতিতে রাজনীতি ভুলে একযোগে কাজ করা হবে। কিন্তু যতই দিন গড়িয়েছে, ততই পাল্টেছে চিত্রটা। একদিকে বিজেপি সহ সমস্ত বিরোধী দলের একাধিক বাক্যবাণে বিদ্ধ হতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসও পাল্টা বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ নিয়ে এসেছে। এর আগেই, করোনা নিয়ে রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী – একাধিকবার এই অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়রা। আর এবার তো বিজেপি সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ একেবারে রাজ্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থই হয়ে পড়লেন। তিনি করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দিলীপবাবুর করা মামলায় মূল প্রতিপাদ্য হল – মৃত্যুর সংখ্যা জানাতে কেন অডিট কমিটি গঠন করা হবে? এছাড়াও, অডিট কমিটি গঠন থেকে ত্রাণ বিলিতে বাধা, সমস্ত ঘটনাই রাজনৈতিক স্বার্থে পরিকল্পনামাফিক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকি তাঁর মতে, করোনায় মৃতের সংখ্যার তথ্যও গোপন করছে রাজ্য সরকার। যদিও এইসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগেই স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, ‘এটা রাজনীতির সময় নয়।’

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেছিলেন, এই সময় রাজনীতির করার সময় নয়। সবাই পাশে থেকে হাতে হাত মিলিয়ে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন সহযোগিতার হাত বাড়ানো জন্য। কিন্তু, সেই আবহেই দিলীপ ঘোষ এদিন স্পষ্ট করে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী একদিকে সহযোগিতা চাইছেন, অথচ বিজেপি নেতা-কর্মীরা ত্রাণ বিলি করতে গেলে তাঁদের পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে আটকানো হচ্ছে। আর এর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছার অভাব আছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

আর, এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, হাইকোর্টে করা মামলায় ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে মৃতের সংখ্যা প্রকাশে অডিট কমিটি গঠনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা পুলিশদেরও পিপিই দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ও আদালতের পর্যবেক্ষণে কমিটি গঠনের দাবিও তুলেছেন দিলীপবাবু।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই করোনা নিয়ে রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী – এই অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। সেখানেও তথ্যগোপনের অভিযোগের সুর তুলেছিল গেরুয়া শিবির। আর তারপর থেকেই কার্যত রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনিও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করোনা নিয়ে রাজনীতি করার স্পষ্ট অভিযোগ করেন। আর এবার, সেসবকে ছাপিয়ে দিলীপবাবু একেবারে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়ে পড়লেন। করোনা আবহে এই নতুন পদক্ষেপ বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এখন কোনদিকে নিয়ে যায় এদিকেই আপাতত নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!